মুরাদনগরে ১৪ মামলার আসামী সন্ত্রাসী আশরাফের বিচার দাবিতে মানববন্ধন
মুরাদনগর প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড রহিমপুর গ্রামের মেম্বার ও ১৪ মামলার আসামী আশরাফুল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
সোমবার বিকেলে মুরাদনগর উপজেলা সদরের আল্লাহু চত্বরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে রহিমপুর গ্রামের কয়েকশ নারী পুরুষ অংশ নেয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ভূক্তভোগি হেলাল উদ্দিন, মোহাম্মদ আজাদ, হেলাল সরকার, জরিনা বেগম, সুফিয়া বেগম ও তাছলিমা আক্তার প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, মেম্বার আশরাফুল ইসলাম দীর্ঘদিন যাবত সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। তার বিরুদ্ধে ৬টি চাঁদাবাজি, ৩টি দ্রুত বিচার, ১টি অস্ত্র ও ৪টি মারামারিসহ ১৪টি মামলা রয়েছে। এ ছাড়াও মেম্বার আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে, পুকুর দখল, টেন্ডারবাজি, জমি দখল, আন্ত: জেলা জুয়ার আসর ও কিশোর গ্যাং এর নেতৃত্ব দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এলাকার নিরীহ মানুষ তার অপকর্মের প্রতিবাদ করাতো দূরের কথা ভয়েও মুখ খুলতে সাহস পায়নি। ভূক্তভোগিরা মেম্বার আশরাফুল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন।
ভূক্তভোগি হেলাল উদ্দিন বলেন, মেম্বার আশরাফুল ইসলাম গত ২০ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টায় দলবল নিয়ে অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার ভাই জালাল উদ্দিনের মুরাদনগর বাজারের স্বর্নালী শিল্পালয়ে গিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। দোকানদারি করতে হলে দিতে হবে, অন্যথায় বড় ধরনের ক্ষতি করার হুমকি দেয়। জীবনের ভয়ে দোকানের ক্যাশ থেকে নগদ ২ লাখ টাকা দেওয়া হয়। বাকী ৩ লাখ টাকা ১০ দিনের মধ্যে দিতে হবে বলে হুমকি দিয়ে চলে আসে। তাদের দাবিকৃত আরো ৩ লাখ টাকা যথাসময়ে না দেওয়ায় মোবাইল ফোনে একাধিকবার প্রাণনাশের হুমকি ধমকি দেয়।
বাধ্য হয়ে থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করলে থানার এসআই হারুনুর রশীদ দীর্ঘদিন চেষ্টা করেও বিষয়টি সুরাহা করতে পারেনি। নিরূপায় হয়ে আমি বাদী হয়ে ২২মার্চ মুরাদনগর থানায় মামলা করি। মামলার পর ওইদিন রাতেই পুলিশ মেম্বার আশরাফুল ইসলামকে গ্রেফতারপূর্বক জেল-হাজতে প্রেরণ করেন। বর্তমানে সে জেলখানা থেকেই আমাকে হুমকি ধমকি দিচ্ছে যে, মেম্বার আশরাফ জামিনে বের হয়ে আমাকে টুকরো টুকরো করে নদীতে ভাসিয়ে দিবে। তাই আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগিতেছি।
মুরাদনগর থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর বলেন, একটি চাঁদাবাজি মামলার প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে মেম্বার আশরাফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছি। তার বিরুদ্ধে আরো ১৩টি মামলা রয়েছে। নতুন মামলাটির তদন্ত চলছে। বর্তমানে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক।
এফআর/অননিউজ