ময়মনসিংহে এবার ৭৮৪ মন্ডপে দুর্গাপুজা
রায়হান,ময়মনসিংহ সংবাদদাতা।।
করোনা মহামারি থেকে বিশ্ববাসীকে মুক্তির প্রার্থনা জানিয়ে ময়মনসিংহে এবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপনের প্রস্তুতি পুরোদমে এগিয়ে চলছে। শেষ মূহূর্তে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রতিমা শিল্পীরা। শিল্পীর নিপুন হাতের ছোঁয়ায় প্রতিমা ধীরে ধীরে দেবী রুপ ধারণ করছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বিধিমত উদযাপনের লক্ষে পুজাকমিটিগুলো প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে। জেলা প্রশাসন,সিটি করপোরেশন ও পুলিশ প্রশাসনও স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে পুজা অনুষ্ঠানের সকল ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে।
এদিকে, গত বছরে করোনার প্রভাব থাকায় ঢিলেঢালা ভাবে পালিত হয়েছিল দুর্গোৎসব। কিন্তু চলতি বছরে করোনার প্রভাব কিছুটা কম থাকায় এবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে অন্যান্য বছরের মতো আনন্দ মুখর পরিবেশে পূজা পালিত হবে বলে জানান অনেকেই। জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক শংকর সাহা জানান, আগামী ১১ অক্টোবর থেকে শুরু হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয়া দুর্গাপুজা। ময়মনসিংহ মহানগরীতে সদর উপজেলার ৮০টিসহ জেলায় মোট ৭৮৪ টি পুঁজা মন্ডপে পুজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মাঝে হালুয়াঘাট উপজেলায় ৬১, ধৌবাউড়ায় ৩৪, ফুলপুরে ৪৪, তারাকান্দায় ৫০, গৌরীপুরে ৬১, সদর উপজেলায় (মহানগরসহ) ১২১, মুক্তাগাছায় ১০২, ফুলবাড়ীয়ায় ৭১, ত্রিশালে ৭১, ঈশ্বগঞ্জে ৫৮, নান্দাইলে ৩০,গফরগাওয়ে ১৭ এবং ভালুকায় ৬৪ টি মন্ডপে পুজা অনুষ্ঠিত হবে। গত বছরের থেকে এবার ১৭টি পুজা বেশী হচ্ছে। এবছর করোনার কারনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুর্গাপুজা অনুষ্ঠানের সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো জানান, আমরা পুজারীবৃন্দকে রক্ষার জন্য স্বাস্থবিধি অনুসরন করবো। প্রতিটি পুজা মন্ডপেই সে ব্যবস্থা থাকবে। আমরা এ বছর মায়ের কাছে প্রার্থনা করবো সারা বিশ্ববাসীকে যেন করোনা মহামারী থেকে রক্ষা করে। ময়মনসিংহ মহানগরীর জুবলিঘাট এলাকার প্রতিমা কারিগর নিখিল চন্দ্র পাল জানান, প্রতিমা তৈরীর কাজ শেষ এখন শুধু রংতুলির আঁচড়ে সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ করে ঢাক, ঢোল, শংখ ধ্বনী আর উলুধ্বনী দিয়ে দেবী দূর্গাকে বরণ করে নেয়ার অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছে ভক্তরা। নগরীর বড় বাজার এলাকার সার্বজনীন পূজার আয়োজক গৌতম পোদ্দার বলেন, ‘প্রতিমা তৈরির কাজ শিল্পীরা শেষ করে ফেলেছে। শিল্পীরা এখন প্রতিমার সাঝ সাজ্জার কাজে ব্যস্ত। আমরা মন্ডপ তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছি।
জেলা পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান জানান, যেসব জায়গায় প্রতিমা তৈরী হচ্ছে সে জায়গায় আমরা পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা দিয়েছি। গোয়েন্দা নজরদারি এবং মোবাইল টিম কাজ করছে। পুজার সময় তিন স্তরের নিরাপত্তা থাকবে। পুজা মন্ডপ কেন্দ্রিক নিরাপত্তা থাকবে। আমরা সুনির্দষ্ট সময়ের মধ্যে বিসর্জন দেয়ার জন্য পুজা উদযাপন কমিটির নিকট অনুরোধ করা হচ্ছে। আগামী ১০ অক্টোবর দেবী দূর্গার বোধনের মাধ্যমে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। ১১ অক্টোবর ষষ্ঠীর আনুষ্ঠানিকতা শেষে শুরু হবে মহাসপ্তমী পূজা। এরপর মহাঅস্টমী, কুমারী পূজা, মহানবমী ও দশমী পূজা শেষে ১৫ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।
সাইফুল ইসলাম সুমন,অননিউজ24।।