র্যাবে আয়নাঘর ছিল, স্বীকার করে ক্ষমা চাইলেন ডিজি
অনলাইন ডেস্ক।।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নে (র্যাব) আয়নাঘর ছিল এবং তা সেভাবেই রাখা হয়েছেন বলে জানালেন বাহিনীটির মহাপরিচালক (ডিজি) এ কে এম শহিদুর রহমান।এ ছাড়া র্যাবের বিরুদ্ধে ওঠা গুম ও খুনের অভিযোগের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, ‘র্যাবের বিরুদ্ধে গুম খুনসহ কিছু অভিযোগ আছে। র্যাবের দ্বারা যারা নির্যাতিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। ভবিষ্যতে এ বাহিনী এমন কোনো কার্যক্রমে কারও নির্দেশে জড়িত হবে না। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সেসবের বিচার নিশ্চিত করা হবে।’
আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
গত কয়েকদিন ধরে র্যাবের বিরুদ্ধে গুম খুনের অভিযোগের পাশাপাশি র্যাবের আয়না ঘর প্রসঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। এ ব্যাপারে র্যাবের বক্তব্য কী? জানতে চাইলে তিনি বলেন, র্যাবে আয়নাঘর ছিল, আছে। সেটা সেভাবেই রাখা হয়েছে। গুম, খুন কমিশন নির্দেশ দিয়েছে আয়নাঘরসহ যা যে অবস্থায় আছে সেভাবেই রাখার জন্য। আমরা কোনো পরিবর্তন, পরিবর্ধন করিনি। যা যে অবস্থায় ছিল, সে অবস্থাতেই রাখা হয়েছে।
র্যাবের পোশাক পরিবর্তন হচ্ছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, র্যাবের পোশাক পরিবর্তনের দাবি উঠেছে। আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি। আর র্যাবের নিজস্ব কোনো আইন নেই। পুলিশ আইনে র্যাব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। র্যাবের জন্য আমরা আলাদা একটি আইন করার চিন্তা-ভাবনা করছি। এ ছাড়া আর কোন কোন বিষয়ে সংস্কার করা যায় সেজন্য গণমাধ্যম ও জনসাধারণের মতামতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
র্যাব মহাপরিচালক আরও বলেন, পোশাকের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে যারা পোশাকটি পরবেন তারা। আমরা প্রতিদিন ইউনিফর্ম পরি, আপনারা প্রতিদিন প্যান্ট শার্ট, স্যুট, পায়জামা-পাঞ্জাবিসহ বিভিন্ন পোশাক পরেন। একজন ভালো ব্যক্তি যে পোশাকই পরেন না কেন আমরা ভালো জিনিসে পাবো। কিন্তু একজন খারাপ ব্যক্তি যে পোশাকই পরেন না কেন আমরা ভালো জিনিস কিন্তু পাবো না। এখানে পোশাকের চাইতে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ব্যক্তির মানসিকতা। এরপরও আমরা র্যাবের পোশাক পরিবর্তনের বিষয়টি বিবেচনায় রেখেছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন— র্যাব এডিজি (অপারেশন্স) কর্নেল ইফতেখার আহমেদ, পরিচালক লে. কর্নেল মুনীম ফেরদৌস।
সূত্রঃ বিডি24লাইভ
আই/অননিউজ২৪।