সবচেয়ে বেশি বেতন শান্তর, সর্বনিম্ন তানজিম সাকিব ও মেহেদীর
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ২০২৪ সালের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে জায়গা পেয়েছেন ২১ জন ক্রিকেটার। এদের মধ্যে নতুন করে চুক্তিতে জায়াগা পেয়েছেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব এবং ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। এ ছাড়া চুক্তিতে ফিরেছেন স্পিনার নাঈম হাসান।
বাদ পড়েছেন তামিম ইকবাল, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, এবাদত হোসেন চৌধুরি ও আফিফ হোসেন ধ্রুব। যদিও তামিম আগেই নিজেকে চুক্তির বাইরে রাখার জন্য বিসিবিকে অনুরোধ করেছিলেন।এ ছাড়া চোটের কারণে চুক্তির বাইরে এবাদত। অন্যদিকে বিপিএলে নিজেকে এখনও মেলে ধরতে পারেনি আফিফ হোসেন। তাই তাকেও চুক্তি বাইরে রেখেছে বিসিবি।
আগের চুক্তিতে দুই ফরম্যাটে থাকলেও নতুন চুক্তিতে তিন ফরম্যাটে জায়গা পেয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত এবং শরিফুল ইসলাম। আগে তিন ফরম্যাটের চুক্তিতে থাকা পেসার তাসকিন আহমেদ এবার বাদ পড়েছেন টেস্টের চুক্তি থেকে।
গত চুক্তিতে সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক প্রাপ্ত খেলোয়াড় ছিলেন সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তাই তিনিই ছিলেন সর্বোচ্চ বেতন প্রাপ্ত খেলোয়াড়। যেহেতু এবার তিনি নেতৃত্বে নাই তাই বেতন কিছুটা কমেছে সাকিবের। নতুন চুক্তিতে সাকিবের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে ৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
অন্যদিকে তিন ফরম্যাটের নতুন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত মাসে সর্বোচ্চ ৯ লাখ ১০ হাজার টাকা পাবেন। চুক্তিতে সর্বনিম্ন বেতনভোগী তানজিম সাকিব ও শেখ মেহেদেী। এ দুজনেই পাবেন ১ লাখ টাকা করে। অভিজ্ঞ মুশফিক পাবেন সাড়ে ৬ লাখ টাকা।
এবার এ+, এ, বি, সি এবং ডি এই পাঁচ ক্যাটাগরিতে ক্রিকেটারদের ভাগ করে চুক্তি প্রকাশ হয়। টেস্টে এ+ গ্রেডের বেতন সাড়ে ৪ লাখ টাকা, ওয়ানডেতে ৪ লাখ এবং টি-টোয়েন্টিতে সংখ্যাটা সাড়ে তিন।
একইভাবে এ ক্যাটাগরিতে টাকার পরিমাণ সাড়ে তিন লাখ, তিন লাখ আর ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। টেস্ট, ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টির জন্য টাকার পরিমাণ ভিন্ন বি, সি আর ডি ক্যাটাগরিতেও।
তবে তিন ফরম্যাটে থাকলেই যে চুক্তির পুরো টাকা পাবেন বিষয়টি তেমন নয়। নিয়মানুযায়ী প্রথম চুক্তির শতভাগ, দ্বিতীয় চুক্তির ৫০ শতাংশ আর তৃতীয় চুক্তির ৪০ শতাংশ অর্থ ঢুকবে তার একাউন্টে। শান্তকে দিয়েই উদাহরণ দেয়া হয়েছে। প্রতি ফরম্যাটের অধিনায়ক হওয়ায় অতিরিক্ত ৪০ হাজার করে আরও মোট ১ লাখ ২০ হাজার টাকা প্রতি মাসে ঢুকবে শান্তর অ্যাকাউন্টে।
এছাড়াও সাকিব ৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা, মুশফিক সাড়ে ৬ লাখ, লিটন ৬ লাখ ৫ হাজার, মিরাজ-শরিফুল সাড়ে ৫ লাখ, তাসকিন ৫ লাখ ৭৫ হাজার, রিয়াদ ৪ লাখ, মোস্তাফিজ ২ লাখ ৮৭ হাজার ৫০০ এবং তাওহিদ হৃদয়ের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে ২ লাখ ৬২ হাজার ৫০০ টাকা।
কেন্দ্রীয় চুক্তির বাইরে কোনো ক্রিকেটার কোনো সিরিজের স্কোয়াডে থাকলে তিনি ওই মাসের ডি ক্যাটাগরির সমপরিমাণ অর্থ পাবেন। তবে পুরো সিরিজে না থাকলে অর্থের পরিমাণ হয়ে যাবে অর্ধেক। এর বাইরেও নির্দিষ্ট সংখ্যক ম্যাচ খেললে ১ লাখ টাকা করে আর্থিক প্রণোদনা পাবেন ক্রিকেটাররা।