সোনারং তরুছায়া সম্মাননা -২০২২ পাচ্ছেন ডা.আবু নাঈম ।
মোঃ আবদুল আউয়াল সরকার,কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি।।
বৃক্ষবিষয়ক গবেষণা ও সম্প্রসারণে অনন্য অবদান রাখার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের প্রভাষক বৃক্ষপ্রেমী ডা.মোহাম্মদ আবু নাঈম ‘আবদুল মালেক~বেগম শামসুন নাহার সোনারং তরুছায়া সম্মাননা ২০২২ খ্রি. এর জন্য মনোনীত হয়েছেন ঘোষণা করা হয়।
কুমিল্লা জেলার সন্তান ডা. মোহাম্মদ আবু নাঈম বিগত ১০ বছর যাবত কাজ করে যাচ্ছেন সবুজ সম্প্রসারণে। কুমিল্লায় বাগানিদের সর্ববৃহৎ সংগঠন ‘কুমিল্লা গার্ডেনার্স সোসাইটি’র প্রতিষ্ঠাতা তিনি। কাজ করছেন সামাজিক বনায়ন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৃক্ষ রোপণ, ছাদকৃষি জনপ্রিয় করণে। নতুন বাগানিদের বিনামূল্যে গাছ, চারা, কাটিং, বীজ উপহার প্রদান করে সবুজ বিস্তারই যাঁর নেশা।
ডা. মোহাম্মদ আবু নাঈম ১৯৮৮ সালের ২৬ জুলাই খাগড়াছড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার দ্বিতীয় এবং ছোট সন্তান। বাবার চাকরিজনিত পোস্টিং এর সুবাদে তাঁর ছোটবেলা কেটেছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, যশোরসহ নানা জেলায়। প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা শিশুবেলা থেকেই। স্কুল~কলেজে থাকাকালীন সময় থেকেই বাগান করেন তিনি। বাবার চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর কুমিল্লায় নিজ জেলায় থিতু হলে তিনি পুরোদমে বাগানে মনোযোগী হন। মেডিকেলে পড়াশোনার সময় যদিও বাগানের সাথে আংশিক বিচ্ছেদ হয় পড়াশোনার চাপে। ২০১২ সালে এম বিবিএস শেষ করেন। পাশাপাশি পুনঃমনোনিবেশ করেন বাগান ও তরুচর্চায়। ২০১৪ সালে বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারে যোগ দেন। দীর্ঘদিন কাজ করেছেন শিক্ষক হিসেবে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ, ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজে। কোভিডকালীন পুরোটা সময় কাজ করেছেন ঝুকিপূর্ণ আর টি পিসিআর ল্যাবে। বর্তমানে উচ্চতর ডিগ্রি নিচ্ছেন এনেস্থেসিওলজি ও ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিন বিভাগে। কর্মস্থল কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
তিনি অবসর সময়ে বই পড়েন ও বাগানে কাজ করেন। তাঁর নিজস্ব বৃক্ষ সম্ভারও বেশ সমৃদ্ধ। তার সংগ্রহকে অনেকে ‘উদ্ভিদ জাদুঘর’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে থাকেন। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তার সবুজ সম্প্রসারণ নিয়ে অনেক প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে। মা বাবা, স্ত্রী কানিজ ফাতিমা ( মিশু), একমাত্র কন্যা নাওমি আর নিজের বাগান নিয়ে সুখের সংসার তাঁর।