হামলা ভাংচুর সহ বিভিন্ন অপরাধ সাম্রাজ্যের রাজা সাজেদুল হক পাশা
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
হামলা ভাংচুর ও মাদক বেচাকেনায় আশ্রয় প্রশ্রয় সহ র্যাগিংয়ের ঘটনায় অভিযুক্ত সাজেদুল হক পাশা দীর্ঘদিন থেকেই নানা অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। স্কুল গামী শিক্ষার্থীদের র্যাগিং ও মানসিক নির্যাতন এবং মাদকসহ পিতার আধিপত্যকে কাজে লাগিয়ে গড়ে তুলেছেন অপরাধের সাম্রাজ্য।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অভিযুক্ত সাজেদুল হক পাশার বাড়ি কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার পূর্বহুড়া গ্রামে। শিক্ষা দীক্ষা না থাকায় বাধ্য হয়েই চলে যেতে হয় প্রবাসে। দেশে আসার পরেই থেকেই বিভিন্ন মামলা ও হামলার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন ।স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের মানসিক নির্যাতন, চাঁদাবাজী, মারধর, আধিপত্য বিস্তার ও নেশাদ্রব্য সেবন করেই দিন কাটে সাজেদুল হক পাশার। লেখাপাড়া না থাকায় এলাকায় গন্ডমূর্খ হিসাবে বেশ সুপরিচিত বিধায় দেড় বছর আগে থেকেই গড়ে তুলেন কিশোর গ্যাং। দেশে থেকেই গড়ে তোলেন ছিনতাইয়ের একটি গ্যাং। তার নিজের শ্বশুর বাড়ীর পাশে নির্জন এলাকায় সাজেদুল হক পাশার নেতৃত্বে জুনিয়রদের একটি গ্রুপ বেশ কিছুদিন ধরেই ছিনতাই চালিয়ে আসছে। বিশেষ করে কামারখাড়া ফসলের মাঠের মধ্যখান দিয়ে চলমান সড়কে, তার শ্বশুর বাড়ী সংলগ্ন কোশাইয়াম এলাকার নির্জন সড়কে তিনি এসব অপকর্ম চালাতেন। ছিনতাইয়ের ক্ষেত্রে স্থানীয় এবং বহিরাগত পথচারীরাই ছিল তার মূল টার্গেট।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, সাজেদুল হক পাশা দীর্ঘদিন ধরে নান অপকর্মের সাথে জড়িত। বাইরে থেকে ঘুরতে আসা লোকজনকে নির্জন সড়কে আটকে টাকা-পয়সাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র হাতিয়ে নিতেন। ছিনতাইয়ে সুবিধার জন্য বেশ কয়েকজন ছোট গ্রুপ পরিচালনা করেন তিনি। এ কাজের জন্য তার একটি মোটরবাইকও রয়েছে। তবে তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবার হামলা, মাদক ও ভাংচুরের অভিযোগ উঠলেও ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না। তিনি এলাকার ফকির দৌলত আহমেদ ধনু ভান্ডারীর পুত্র।
বিশ্বস্ত সূত্র মতে জানা যায়, ঐ এলাকায় এসব কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বছরের পর বছর পিতার ছত্রছায়ায় এ ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে আসছে। গত বেশ কয়েকমাসে এলাকায় বেশ কয়েকটি হামলা ও ভাংচুর সহ লুটপাটের ঘটনা ঘটে। উল্লেখিত ঘটনায় বুড়িচং থানায় ও আদালতে ৩২৬ ধারায় বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীরা ।
এ বিষয়ে বুড়িচং থানায় তদন্তকারী কর্মর্কতা এস আই আনোয়ার হোসেন জানান মামলার বিষয়ে এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছে, অভিযানে একজন আসামী দ্রুত বেগে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়, অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এফআর/অননিউজ