হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পাথর রফতানি বন্ধ করে দিয়েছেন ভারত আরো দাম বাড়ার আশংকা
হিলি প্রতিনিধি
পার্কিং চার্জ বৃদ্ধি, ওভারলোডিংসহ ভারত অভ্যন্তরে নানা জটিলতার কারনে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে পাথর রফতানি বন্ধ করে দিয়েছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। এতে করে দেশের বাজারে সরবরাহ ঘাটতির কারনে পাথরের আরো দাম বাড়ার আশংকা করছেন ব্যবসায়ীরা। তেমনি বন্দর থেকে রাজস্ব আহরন কমার আশংকা করছেন বন্দর কতৃপক্ষ।
শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি শেষে শনিবার সকাল থেকে বন্দর দিয়ে দুদেশের মাঝে পণ্য আমদানি রফতানি বানিজ্য শুরু হলেও বিকেল ৩টায় এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বন্দর দিয়ে কোন ধরনের পাথর রফতানি করেনি ভারত।তবে ভারতীয় সিআ্যন্ডএফ এজেন্ট জানিয়েছেন চিপস পাথর লোড না হওয়ায় তা আজ ঢোকার সম্ভাবনা নেই তবে বোল্ডার পাথর রফতানি হবে।
ভারতের হিলির সিআ্যন্ডএফ এজেন্ট খোকন সরকার বলেন, পাথরের ট্রাক খুব বেশী আজ রফতানি না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশী রয়েছে কারন পাথরের ট্রাক বিশেষ করে চিপস পাথর লোডিং হয়নি। তবে বন্দর দিয়ে বোল্ডার পাথর রফতানি হবে শুধুমাত্র চিপস পাথর লোডিং না হওয়ায় সেটি আজ রফতানি নাও হতে পারে। ওভারলোডিং ও চার্জ নিয়ে কিছু একটা সমস্যা রয়েছে সেটির সমাধান হয়ে গেলে তারপরে চিপস পাথর লোডিং শুরু হলে বাংলাদেশে রফতানি শুরু হবে। তবে কখন হবে সেটির কোন নিদ্রিষ্ট সময় বলা যাচ্ছেনা।
বাংলাহিলি কাস্টমস সিআ্যন্ডএফ আ্যসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক ও পৌরমেয়র জামিল হোসেন চলন্ত বলেন, ভারত রফতানির বিষয়টি একান্তই ভারতের অভ্যন্তরিন বিষয়। তারপরেও আমরা এবিষয়টি নিয়ে ভারতীয় রফতানিকারক আ্যসোসিয়েশেনর সাথে কথা বলেছি। তারা আমাদেরকে জানিয়েছেন যে তাদের পার্কিংয়ে কিছু একটা সমস্যা তৈরি হয়েছে যা পাথর রফতানিতে মুল সমস্যা সেইসাথে ওভারলোডিং এর সমস্যাটিও রয়েছে। পুর্বে পার্কিংয়ে প্রবেশে প্রতিটি ট্রাকে যে ১শ টাকা করে নিতেন এখন সেটি বাড়িয়ে ৪শ টাকা হয়েছে। সেই সাথে পার্কিংয়ে ট্রাক হল্টেজ অবস্থায় থাকলে সারাদিন ৩০টাকা করে দিতে হতো এখন সেটি বাড়িয়ে ঘন্টায় ৫০টাকা করে নির্ধারন করেছে। এবিষয়গুলো নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে সেই বিষয়ে ভারতীয় রফতানিকারক আ্যসোসিয়েশন তাদের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সহিত বৈঠকে বসছে এবিষয়ে আলোচনা স্বাপেক্ষে তারা তাদের সিন্ধান্ত জানাবেন। যদি সুরাহা হয়ে যায় তাহলে আবারো পুর্বের ন্যায় বন্দর দিয়ে পাথর প্রবেশ করবে বলে তারা আমাদেরকে জানিয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত বন্দর দিয়ে পাথর আমদানি বন্ধ রয়েছে। পাথরের ট্রাক ১৫টনের বেশী তারা নিয়ে আসতে পারবেনা যা পাথর আমদানির জন্য সমস্যা বেশী পরিমান পাথর ট্রাকে না আসলে পরিবহন খরচ নিয়ে আমদানিকারকরা ক্ষতির মুখে পড়বেন। আর ভারত থেকে যদি পাথর আমদানি না হয় তাহলে দেশে পাথরের দাম স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে যাবে। এতে করে আমাদের দেশে যে উন্নয়নমুলক কর্মকান্ড চলছে সেগুলোর উপরে প্রভাব পড়বে বলে মনে করছি আমরা। আমরা এবিষয়ে ভারতীয় রফতানিকারকদের সাথে বার বার যোগাযোগ করছি যাতে করে এটি দ্রুত সমাধান করে পাথর রফতানি স্বাভাবিক করা হয়।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, বন্দর দিয়ে পুর্বে ১শ থেকে ১শ ২০ট্রাক পাথর আমদানি হলেও গত সপ্তাহ থেকে পাথরের আমদানি ৫০/৬০ ট্রাকে দাড়িয়েছে। তবে আজ শনিবার এখন পর্যন্ত বন্দর দিয়ে কোন পাথরের ট্রাক প্রবেশ করেনি। এতে করে সরকার যেমন তার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তেমনি বন্দর কতৃপক্ষ তাদের যে দৈনন্দিন আয় রয়েছে সেটি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।