হিলি স্থলবন্দরে পেয়াজের আমদানি নামলো ৩ট্রাকে কেজিতে দাম বাড়লো ৬টাকা
হিলি প্রতিনিধি।।
দেশের বাজারে চাহীদা কমার কারনে আমদানি কমে দেওয়ায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে পেয়াজের আমদানি কমে ৩ট্রাকে নেমেছে। এতে করে মাত্র একদিনের ব্যবধানে পাইকাড়িতে পেয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ৬টাকা করে। একদিন আগেও বন্দরে নতুন ইন্দোর জাতের ছোট আকারের পেয়াজ প্রতি কেজি ২৫/২৬টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বেড়ে ৩১থেকে ৩২টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।এদিকে আবারো পেয়াজের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন বন্দরে পেয়াজ কিনতে আসা পাইকাড়সহ নিন্ম আয়ের মানুষজন।
হিলি স্থলবন্দরের পেয়াজ ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলাম বলেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দেশীয় নতুন মুড়িকাটা জাতের পেয়াজ উঠার ফলে বাজারে সরবরাহ বাড়ায় ও দাম কম থাকায় ভারতীয় পেয়াজের চাহীদা কমে যায়। একইসাথে বার্মা থেকেও পেয়াজের আমদানি অব্যাহত থাকায় সেই পেয়াজের মান ভালো থাকায় ও দাম তুলনামুলক কম হওয়ার কারনেও দেশের বাজারে ভারতীয় পেয়াজের চাহীদা কমতে থাকে। অপরদিকে মৌসুম শেষ হওয়ায় ভারতীয় পেয়াজের মান খারাপ হওয়ায় ও আমদানিকৃত পেয়াজে গাছ গজিয়ে যাচ্ছিল।এমন অবস্থায় ভারত থেকে পেয়াজ আমদানি করে লোকশান গুনতে হচ্ছিল বন্দরের আমদানিকারকদের। যার কারনে বন্দর দিয়ে পেয়াজ আমদানি কিছুটা কমিয়ে দিয়েছেন বন্দরের আমদানিকারকরা।এতে করে দেশের বাজারে পণ্যটির সরবরাহ কমায় দাম বাড়তির দিকে রয়েছে। অপরদিকে বাজারে দেশীয় পেয়াজের সরবরাহ থাকলেও দাম বাড়তির দিকে রয়েছে দেশীয় পেয়াজ বর্তমানে দাম বেড়ে ৩০ থেকে ৩১টাকায় দাড়িয়েছে। এছাড়াও বার্মা থেকে যে কম দামের নিন্মমানের পেয়াজ আসছিল সেই পেয়াজ আসাও বন্ধ হয়ে গেছে।এছাড়া ভারত থেকে মৌসুমে শেষের যে নিন্মমানের যে পেয়াজ আসছিল সেটি বন্ধ হয়ে গেছে।এখন নতুন জাতের পেয়াজ আসছে যার কারনে ভারতের বাজারেই পেয়াজের দাম বাড়তি হওয়ায় বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে। যার কারনে দেশের বাজারে পেয়াজের দাম বাড়ছে।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেয়াজের আমদানি অব্যাহত থাকলেও পুর্বের তুলনায় পেয়াজের আমদানি অনেকটা কমে এসেছে। বৃহস্পতিবার বন্দর দিয়ে ৩টি ট্রাকে ৮২টন পেয়াজ আমদানি হয়েছে। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির কারনে বন্দর দিয়ে পেয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল আজ শনিবার বন্দর দিয়ে পেয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। পেয়াজ যেহেতু কাচাপণ্য ও দ্রুত পচনশীল তাই এটি যেন দ্রুত বন্দর থেকে খালাস নিতে পারেন ব্যবসায়ীরা এজন্য বন্দর কতৃপক্ষ সবধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করে রেখেছেন।