১ বছর আগে বিয়ে করেন তৌকির, স্ত্রী ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষক

অনলাইন ডেস্ক।।

তার মৃত্যুতে রাজশাহীর গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে তার বাড়িতে গিয়ে স্বজনদের আহাজারি করতে দেখা যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী নগরীর উপশহরের ৩ নম্বর সেক্টরের ২২৩ নম্বর বাসায় ভাড়া থাকেন তৌকিরের বাবা তহুরুল ইসলাম, মা সালেহা খাতুন এবং ছোট বোন সৃষ্টি খাতুন। দুই ভাই-বোনের মধ্যে তৌকির ছিলেন বড়। তার একমাত্র ছোট বোন সৃষ্টি খাতুন রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজে এমবিবিএসের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

সাগরের মামা শওকত আলী জানান, ছোট থেকেই সাগরের স্বপ্ন ছিল পাইলট হবেন। পরিবারের ইচ্ছা ছিল সেনাবাহিনীতে অফিসার হবেন তিনি। তবে নিজের স্বপ্নেই অটল ছিল সাগর। পড়ালেখায় ছিলেন মেধাবী। ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছেন রাজশাহী গভ. ল্যাবরেটরি স্কুলে। এরপর ভর্তি হন পাবনা ক্যাডেট কলেজে, সেখান থেকেই উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করেন। পরে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে যোগ দেন তিনি।

তৌকিরের আরেক মামা সেলিম জানান, দুইমাস আগে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা হয়েছে। তার স্ত্রী ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করেন। আগামীকাল রাজশাহীতে তার দাফন সম্পন্ন হবে।

তৌকিরের মৃত্যুর খবর শুনে রাজশাহী নগরীর ভাড়া বাসায় ছুটে আসেন পাবনা ক্যাডেট কলেজে তার সাবেক প্রশিক্ষক মোস্তাক আহমেদ। তিনি বলেন, তৌকির খুবই মেধাবী, ভীষণ ভদ্র এবং শান্ত স্বভাবের ছেলে ছিল। সে ছোটদের স্নেহ করত, বড়দের সম্মান দিত। ওর সঙ্গে আমার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে।

প্রসঙ্গত, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২০ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও দুর্ঘটনায় শতাধিক আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে অন্তত ১৭১ জনকে উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে নেয়া হয়েছে। হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্তরা জানিয়েছেন, দগ্ধদের বেশিরভাগই শিক্ষার্থী।

সূত্র:বিডি২৪লাইভ
ই/অননিউজ ২৪

আরো দেখুনঃ