অজ্ঞাত অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকা দুলাল উদ্দিন ফকির নিজ বাড়িতে ফিরলেন

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি।।

মানব দরদী মানুষদের চিন্তা-চেতনা হলো শুধু নিজের জন্য বেঁচে থাকাই বেঁচে থাকা নয়। অসহায় মানুষের চোখের পানি মুছে দিয়ে বেঁচে থাকার নামই জীবন। অসহায় মানুষের চোখের পানি মুছে দিতে নিজের সাধ্যমতো আত্মমানবতার সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিচ্ছেন, অস্বচ্ছ মানুষের কল্যাণে। তিনি হলেন কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার সাথী ফুড পার্ক এন্ড রির্সোটের পরিচালক ও কুষ্টিয়া সরকারি পলিটেকনিকের ছাত্র আকিবুর রহমান আরজু।

ভেড়ামারা শহরের মধ্য বাজার সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশে হালিম বিশ্বাস সুপার মার্কেটের সামনে অজ্ঞাত ব্যাক্তি অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে ছিলো। সাথী ফুড পার্ক এন্ড রির্সোটের পরিচালক আকিবুর রহমান আরজু মানবিক পরিচয় দিয়ে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে ভর্তি করে। বৃহস্পতিবার সকালে অজ্ঞাত ব্যাক্তি অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকা বর্তমানে সুস্থ দুলাল উদ্দিন ফকির ময়মনসিংহে নিজ বাড়িতে ফিরলেন। দুলাল উদ্দিন ফকির ময়মনসিংহ জেলার গাফরগাও উপজেলার উথুরি গ্রামের জাবু ফকিরের ছেলে।

ভেড়ামারা মধ্য বাজার বনিক সমিতি’র সভাপতি বদরুজ্জামান বাদল বলেন. গত রবিবার দুপুরে ভেড়ামারা শহরের মধ্য বাজার সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশে হালিম বিশ্বাস সুপার মার্কেটের সামনে অজ্ঞাত এক ব্যাক্তি অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে ছিলো। ভেড়ামারার সাথী ফুড পার্ক এন্ড রির্সোটের পরিচালক ও কুষ্টিয়া সরকারি পলিটেকনিকের ছাত্র আকিবুর রহমান আরজু ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মানবিক পরিচয় দিয়ে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে ভর্তি করা হয়। আকিবুর রহমান আরজুসহ সকলের সহযোগিতায় অজ্ঞাত ব্যাক্তিকে সুস্থ করে তুলা হয়। সকলের সহযোগিতায় অজ্ঞাত ব্যাক্তি’র পরিচয় পাওয়া যায়। অজ্ঞাত দুলাল উদ্দিন ফকির কে ঈদ সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।

ষ্টীলের দোকানের মালিক লিটন হোসেন বলেন, হালিম বিশ্বাস সুপার মার্কেটের সামনে অজ্ঞাত ব্যাক্তি অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে ছিলো। তাকে উদ্ধার করে কিছুটা সুস্থ করে তুলে হয়। তাকে ভেড়ামারার সাথী ফুড পার্ক এন্ড রির্সোটের পরিচালক ও কুষ্টিয়া সরকারি পলিটেকনিকের ছাত্র আকিবুর রহমান আরজু ও ভেড়ামারা মধ্য বাজার বনিক সমিতি’র সভাপতি বদরুজ্জামান বাদল সহযোগিতায় অজ্ঞাত ব্যাক্তিকে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে ভর্তি করা হয়। ৫ দিন চিকিৎসা শেষে তাকে সুস্থ করে তুলা হয়। সুস্থ দুলাল উদ্দিন ফকির কে তার নিজ বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।

ভেড়ামারার সাথী ফুড পার্ক এন্ড রির্সোটের পরিচালক ও কুষ্টিয়া সরকারি পলিটেকনিকের ছাত্র আকিবুর রহমান আরজু বলেন, ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অজ্ঞাত ব্যাক্তিকে প্রথমে ভর্তি করা হয়। অজ্ঞাত ব্যাক্তির কোন পরিচিত জন থাকলে হাসপাতালে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হয়। ভেড়ামারা মধ্য বাজার বনিক সমিতি’র সভাপতি বদরুজ্জামান বাদল ও ষ্টীলের দোকানের মালিক লিটন হোসেন সহযোগিতায় অজ্ঞাত ব্যাক্তিকে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে ভর্তি করা হয়। ৫ দিন চিকিৎসা শেষে তাকে সুস্থ করে তুলা হয়। দুলাল উদ্দিন ফকির ময়মনসিংহ জেলার গাফরগাও উপজেলার উথুরি গ্রামের জাবু ফকিরের ছেলে। ময়মনসিংহ জেলার গাফরগাও উপজেলার উথুরি গ্রামের দুলাল উদ্দিন ফকিরের ছেলে পিয়াস তার বাবার খোঁজে ভেড়ামারায় আসে। পুলিশের সহযোগিতায় দুলাল উদ্দিন ফকির কে তার ছেলের হাতে তুলে দেওয়া হয়। দুলাল উদ্দিন ফকিরের পরিবার অসহায় হওয়ায় তাকে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়। দুলাল উদ্দিন ফকিরের ছেলে পিয়াসের হাতে আর্থিক সহযোগিতা তুলে দেওয়া হয়।

ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ জহুরুল ইসলাম বলেন, আইডি কার্ডের মাধ্যমে দুলাল উদ্দিন ফকিরের পরিচয় শনাক্ত করে তার ছেলে পিয়াসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

এফআর/অননিউজ

আরো দেখুনঃ