নগরীর গোবিন্দপুরে রাজিব হত্যাকান্ড : আদালতে ঘাতক রাব্বির জবানবন্দি

নেকবর হোসেন

কুমিল্লা মহানগরীর গোবিন্দপুরে ছুরিকাঘাতে যুবক রাজিব হত্যাকান্ডের ঘটনায় ঘাতক আবু রাব্বি ওরফে বাপ্পার পয়েন্ট রাব্বি (২৮) হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।

সোমবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি মডেল থানায় এসআই শেখ মফিজুল ইসলাম।
জানা যায়,গত (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে নগরীর গোবিন্দপুর এলাকায় ভাড়াটিয়া যুবক রাজিব হোসেন (২৩) খুন হয় । রাজিবের বাড়ি নীলফামারী জেলার ডুবাডাঙ্গা আইলপাড় এলাকায় সফিউদ্দিন এর পুত্র। সে গোবিন্দপুর এলাকায় ভাড়া থেকে শ্রমিকের কাজ করত। তবে এলাকার বখাটেদের সাথে তার ওঠাবসা ছিল।

স্থানীয় সুত্র জানায়, গত ১ ফেব্রুয়ারিতে এলাকায় ভাড়াটিয়া ও জুনিয়র রাজিব সিনিয়র রাব্বির সামনে সিগারেট খাচ্ছিল। এ নিয়ে রাজিব ও রাব্বির মাঝে বাক ভিতন্ডা হয়। তর্কে জড়ানোর কারণে এক পর্যায়ে রাজিবকে থাপ্পড় মারে রাব্বি । পরে রাজিব কয়েকজন সহপাঠী নিয়ে রাব্বিকে এসে উল্টো থাপ্পড় মারে। এ ঘটনা এলাকায় জানাজানি হয়। জুনিয়র হয়ে তাকে থাপ্পড় মারার ঘটনা হজম করতে পারেনি রাব্বি। এ সিনিয়র জুনিয়র দ্বন্দ্ব নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে ওই গত শুক্রবার রাব্বি ওরফে পয়েন্ট রাব্বি একাই রাজিবকে ছুরিকাঘাত করে। একাধিক ছুরিকাঘাতে রাজিব রক্তক্ষরণে মাটিতে পড়ে যায়। পরে তাকে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়।
এ ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানায় রাব্বিকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।রাব্বির মামার বাড়ি গোবিন্দপুর। তবে এলাকায় সে ভাসমান বখাটে হিসেবে পরিচিত।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শেখ মফিজুল ইসলাম জানান, গোবিন্দপুরে আলোচিত রাজিব হত্যার ঘটনায় মামলা রুজুর ১৫ ঘন্টার মধ্যে বিসিক শিল্প নগরীর তোয়াল ফ্যাক্টরির পশ্চিম দক্ষিণ কোনায় খানকা শরীফ কবরস্থান সংলগ্ন এলাকা হতে আসামি রাব্বিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তদন্ত কর্মকর্তা আরো জানা, কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ত্রিনাথ সাহার দিকনির্দেশনা মামলায় আসামি গ্রেফতার ও রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে । পরবর্তীতে আসামী রাব্বিকে জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করায় ঘটনার আলোকে স্বেচ্ছায় রবিবার বিকেলে কুমিল্লা বিজ্ঞ বিচারক আব্বাস আলীর আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারা জবানবন্দী প্রদান করে।পরে আদালতের নির্দেশে তাকে কুমিল্লা কেন্দ্রিয় কারাগারে প্রেরন করা হয়। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়া সাপেক্ষে পুলিশ রিপোর্ট দাখিল করা হবে।

আরো দেখুনঃ