নড়াইলে একটি স্কুল দাহ্য পদার্থ দিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার চেষ্টার অভিযোগ

নড়াইল প্রতিনিধি

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকের প্রতিষ্ঠিত একটি প্রি-ক্যাডেট স্কুল দাহ্য পদার্থ দিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনাটি নড়াইল সদর উপজেলার চালিতাতলা এলাকায়। বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।

গত ২১মে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে নড়াইল সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই উপজেলায় বিজয়ী হয়েছেন আনারস প্রতীকের প্রার্থী আজিজুর রহমান ভূইয়া এবং পরাজিত হয়েছেন ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী তোফায়েল মাহমুদ তুফান।
জানাগেছে, সম্মিলনী প্রি-ক্যাডেট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা চন্ডীবরপুর ইউনিয়নের গোয়ালবাথান গ্রামের সৈয়দ সামিউল হাসান সরফু পরাজিত প্রার্থী তোফায়েল মাহমুদ তুফানের ঘোড়া প্রতীকের পক্ষে কাজ করেছেন।

সামিউল হাসান শরফু জানান, শুক্রবার (২৪মে) দিবাগত রাতে কে বা কারা স্কুলের টিনের ঘরের চারপাশের বেড়ায় দাহ্য পদার্থ দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। ঘটনাস্থলে দাহ্য পদার্থ বহনকারী একটি বোতল পড়ে ছিলো। হয়তো কোনো কারনে আগুন ধরাতে পারেনি। তিনি অভিযোগ করেন, বিজয়ী প্রার্থীর লোকজন এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকতে পারে। বিষয়টি প্রশাসন সহ উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হচ্ছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রিক্তা খানম বলেন, আমার স্বামী সৈয়দ সামিউল হাসান শরফু ২০০৯ সালে সম্মিলনী প্রি-ক্যাডেট স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন। বিদ্যালয়টি সুনামের সাথে পাঠদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল করে আসছে। সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমার স্বামী ও পিতার বাড়ির লোকজন ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কাজ করায় বিজয়ী আনারস প্রতীকের কর্মী-সমর্থকরা আমার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছে।

এদিকে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ দাবি করেছেন, স্কুল ঘরটি নিজেরা পুড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করে বিজয়ী চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান ভূইয়ার ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা চলছে কিনা তা পুলিশ প্রশাসন তদন্তের মাধ্যমে বের করার অনুরোধ করেছেন।

এ ব্যাপারে নির্বাচিত সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আজিজুর রহমান ভূইয়া বলেন ‘নির্বাচনে জয় পরাজয় আছে। কে কার পক্ষে কাজ করলো কিংবা করলো না, সেটা কোন বিষয় নয়। একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দাহ্য পদার্থ দিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হবে এটা ঘৃণিত কাজ। যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।’

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। পুলিশ পাঠিয়ে সরজমিনে তদন্ত করা হচ্ছে। পরবর্তীতে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা বা বিশৃঙ্খলা না হয় সেদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নজরদারিতে রাখা হবে।’

আরো দেখুনঃ