নড়াইল সদর উপজেলার ৮টি কেন্দ্রে পুনরায় ভোটগ্রহণের দাবি পরাজিত প্রার্থীর

নড়াইল প্রতিনিধি

৬ষ্ট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয়ধাপে গত ২১ মে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে ৮টি ভোট কেন্দ্রে পুনরায় ভোটগ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ঘোড়া প্রতীকের পরাজিত প্রার্থী সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান তোফায়েল মাহমুদ তুফান। শনিবার বিকেলে সাংবাদিকদের কাছে পুনরায় এ দাবি করেন। এর আগে তিনি রিটার্ণিং অফিসার বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন।

তোফায়েল মাহমুদ তুফান অভিযোগ করেন, নির্বাচনের দিন তার নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে তাকে শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করাসহ জোর করে তার এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়। ভোটারদের আসতে বাধা দেয়া হয় এবং কয়েকটি কেন্দ্রে প্রচুর পরিমান জাল ভোট প্রদান করা হয়েছে, যা সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সে কারনে তিনি চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের সকল কেন্দ্র আউড়িয়া ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর স্কুল ও দত্তপাড়া স্কুল কেন্দ্র এবং মাইজপাড়া ইউনিয়নের চারিখাদা স্কুল কেন্দ্রে পুনরায় ভোটগ্রহণেল দাবি জানান।

তিনি আরো অভিযোগ করেন যে, নড়াইল সদর উপজেলায় মোট কাষ্টিং ভোট শতকরা ৩৭.৪৯%। সেখানে আনারস প্রতীকের প্রার্থী আজিজুর রহমানের নিজ ইউনিয়ন চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের সীবানন্দপুর কেন্দ্রে ভোটের শতকরা হার ৮১% ভোট পড়েছে, যা উপজেলার সকল কেন্দ্রের ভোট এর সাথে এ ভোটের হার অসামঞ্জস্যপূর্ন।

তিনি আরো অভিযোগ করেন, ফলাফল ঘোষনার সময়, ৯৫টি কেন্দ্রে ফল ঘোষনা করার দীর্ঘ সময় পর রাত ১২ থেকে সাড়ে ১২ দিকে বাকী সীবানন্দপুর চারিখাদাসহ ৫টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষনা করা হয়। নির্বাচনের আগেও আমি রির্টানিং অফিসার বরাবর অভিযোগ করেছি, কিন্তু সে সব অভিযোগ কোন প্রকার যাচাই -বাছাই ছাড়া খারিজ করে দেয়া হয়।

এ ব্যাপারে বিজয়ী প্রার্থী আজিজুর রহমান ভূইয়া বলেন,‘ আমার জন্মস্থান সদর উপজেলার চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের সীবানন্দপুর গ্রামে। আমি চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের ৭বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। বরাবরই আমার গ্রামের মানুষ স্বতঃস্ফুর্তভাবে আমাকে ভোট দিয়ে থাকে। যার কারনে এবারও স্বতঃস্ফুর্তভাবে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে।’

এ বিষয়ে নড়াইল সদর উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শ্বাশতী শীল বলেন, পরাজিত প্রার্থীর অভিযোগটি পেয়েছি। নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে মন্তব্য করে বলেন, পরাজিত প্রার্থী সিবানন্দপুর কেন্দ্রে অস্বভাবিক ভোটের কথা বলছেন। এ কেন্দ্রটি বিজয়ী প্রার্থীও গ্রামের কেন্দ্র। এখানে আমাদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষনিক একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং পুলিশের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। এ কেন্দ্রসহ কোনো কেন্দ্রেই অনিয়ম হয়নি। তিনি নির্বাচনের দিন এবং ভোট গননার সময় অভিযোগ না করে একদিন পর করছেন। এখন আমার কিছু করার সুযোগ নেই। তিনি যদি মনে করেন তাহলে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল করতে পারেন। ছবি সংযুক্ত।

প্রসঙ্গত, বেসরকারি ফলাফলে আজিজুর রহমান ভূঁইয়া (আনারস প্রতীক) ৪৫ হাজার ৮৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ তোফায়েল মাহমুদ ঘোড়া প্রতীকে ৪২ হাজার ৩০৬ ভোট পেয়েছেন।

আরো দেখুনঃ