৩৯ দিনেও সন্ধান মিলেনি বাঙ্গরায় নিখোঁজ গৃহবধুর
মুরাদনগর প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা থেকে নিখোঁজের একমাস অতিবাহিত হলেও গৃহবধু রেশমা আক্তারের সন্ধান পায়নি পুলিশ। গত ২৯ জুলাই সকাল আনুমানিক ১০টায় বাঙ্গরা বাজার থানাধীন দৌলতপুর গ্রামের তার স্বশুর বাড়ি থেকে সে নিখোঁজ হয়। উপায়ন্তর না পেয়ে ভুক্তভোগির পরিবার বারবার পুলিশের কাছে দ্বারস্ত হচ্ছেন। গতকাল বুধবার দুপুরে মুরাদনগর উপজেলা প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের কাছে তারা হতাশার কথা প্রকাশ করেন।
জানা যায়, ৯ মাস পূর্বে যাত্রাপুর ইউনিয়নের মোচাগড়া গ্রামের মৃত সেলিম মিয়ার মেয়ে রেশমা আক্তারের সাথে বাঙ্গরা পূর্ব ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের মৃত রুস্তম খানের ছেলে নাছির খানের বিবাহ হয়। বিয়ের পর তাদের দাম্পত্য জীবন সুখেই কাটাচ্ছিলেন। বেড়ানোর উদ্দেশ্যে রেশমা আক্তার গত ২৯ জুলাই সকাল ১০টায় স্বামীর বাড়ি দৌলতপুর থেকে বাবার বাড়ি মোচাগড়ার উদ্দেশ্যে বের হয়ে যায়। দেবর ইউসুফ খান তার বাবার বাড়িতে ফোন দিলে রেশমা আক্তার তাদের বাড়ি যায়নি বলে জানায়। এ খবর পেয়ে তারা নিকট আত্মীয় স্বজন ও সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজ-খব নেন, কিন্তুু তার কোন সন্ধান পাওয়া পাননি। পরে নিরূপায় হয়ে রেশমা আক্তারের স্বামী নাছির খান গত ৮ আগষ্ট বাঙ্গরা বাজার থানায় একটি জিডি করেন (নং ৩৪৭)। কিন্তুু এখনো তারা তার সন্ধান না পেয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন।
রেশমা আক্তারের মা সেলিনা বেগম বলেন, আমার মেয়ে ৮/১০ জন মেয়ের মতো না। সে সরল ও স্বাভাবিক জীবন যাপনে অভ্যস্ত। তাকে খুঁজে না পেলে আমার বেঁচে থাকাই হবে কষ্টসাধ্য। যে করেই হোক আপনারা তাকে খুঁজে বের করুন- এই বলেই সে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
রেশমা আক্তারের স্বামী নাছির খান বলেন, প্রায় এক বছর আমার সংসার জীবন। কোন বিষয় নিয়ে তার সাথে আমার অশান্তি তৈরী হয়নি। আমার জানামতে তার মধ্যে কোন বিষয় নিয়ে অভিমান নাই। ধারণা করছি পথিমধ্যে কোন দুষ্ট লোকের কবলে সে পড়লো কিনা!
বাঙ্গরা বাজার থানার এসআই ও তদন্তকারী কর্মকর্তা ওবায়দুল্লাহ বলেন, আমি সম্ভাব্য কয়েক জায়গায় স্বশরীরে গিয়েছি। সবচেয়ে বেকায়দার বিষয় হলো, তারা কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে না। তবে আমি হাল ছাড়ি নাই, তাকে খুজেঁ পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বিষয়টি তদন্ত করার জন্য এসআই ওবায়দুল্লাহকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা মোবাইল ব্যবহার না করাতে ক্লু পেতে আমাদের বিলম্ব হচ্ছে।
এফআর/অননিউজ