অনুমতি ছাড়া জিডিতে সাক্ষী ; প্রাধ্যক্ষ ও সহকারী প্রক্টরের পদত্যাগ
কুবি প্রতিনিধি।।
গত ২৮ এপ্রিল শিক্ষকদের উপর হামলা করে ৬ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে উলটো থানায় অভিযোগ (জিডি) করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন। তবে অনুমতি ছাড়াই শেখ হাসিনা হলের প্রাধ্যক্ষ ও ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. সাহেদুর রহমান এবং সহকারী প্রক্টর ও একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মোশারফ হোসাইনকে জিডির সাক্ষী বানানো এবং চলমান সংকট নিরসনে উপাচার্য কর্তৃক কার্যত কোন পদক্ষেপ না নেয়ার ফলে পদত্যাগ করেছেন তারা।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রেজিস্ট্রার দপ্তর বরাবর প্রেরিত পৃথক দুটি পদত্যাগপত্র সূত্রে বিষয়টি জানা যায়৷
পদত্যাগপত্রে মো. সাহেদুর রহমান বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক শিক্ষা-কার্যক্রম চলাচলে যে সংকট তৈরি হয়েছে তা দিনদিন আরও ঘনীভূত হচ্ছে। সেক্ষেত্রে আমি বর্তমান প্রশাসনের অংশ হিসেবে উক্ত সংকট নিরসনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে না পারায় উক্ত পদে দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করছি।
পদত্যাগের বিষয়ে তিনি বলেন, এখানে আমি কাজ করতে স্বস্তিবোধ করছি না। আমার অনুমতি ছাড়াই আমাকে উপাচার্য থানায় যে অভিযোগ করেছেন সেখানে সাক্ষী বানানো হয়েছে। তাই আমি পদত্যাগ করেছি।
পদত্যাগ পত্রে মো. মোশারফ হোসাইন বলেন, গত বেশ কিছুদিন ধরে সৃষ্ট চলমান সংকট নিরসনে মাননীয় উপাচার্য কর্তৃক কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় একজন শিক্ষক হিসেবে এমন পরিস্থিতিতে বর্তমান প্রশাসনের সাথে দায়িত্ব পালন করতে বিব্রতবোধ ও অনীহা প্রকাশ করছি। একজন সাধারণ শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকদের সকল দাবিদাওয়ার সাথে একাত্মতা পোষণ করে প্রশাসনিক পদ (সহকারী প্রক্টর) থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।
পদত্যাগের বিষয়ে তিনি বলেন, এভাবে একটি বিশ্ববিদ্যালয় চলতে পারেনা। অনুমতি ছাড়াই জিডির সাক্ষী বানানোর বিষয়ে প্রশাসনের কাছে যখন জানতে চাই তখন তারা সহকারী প্রক্টরের দায়িত্বে আছি বিধায় আমার নাম দিয়েছেন বলে জানান। অথচ এই ব্যপারে আমাকে আগে কিছুই জানানো হয়নি।
অনুমতির বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের বাদী পক্ষ মো. ছাদেক হোসেন মজুমদার বলেন, প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী নির্দেশে আমি ঐ শিক্ষকদের নাম দিয়েছি। আমার তাদের সাথে কোনো কথা হয় নাই।
প্রসঙ্গত, উপাচার্যের বিভিন্ন অনিয়ম, তৎপরবর্তী সংকট এবং সংকট নিরসনে বাস্তবিক কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করে উলটো শিক্ষকদের উপর বহিরাগত ও সাবেক ছাত্রলীগ কর্মীদের দিয়ে হামলা করার প্রতিবাদে এই পর্যন্ত মোট ১৮ জন শিক্ষক বিভিন্ন প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন।
এফআর/অননিউজ