কচুয়ায় পুত্রবধুর গরম পানিতে ঝলসে গেল শ্বাশুড়ির শরীর

সাইফুল ইসলাম সুমন, কচুয়া।।

চাঁদপুরের কচুয়ায় শারমিন আক্তার নামের এক পুত্রবধুর গরম পানিতে ঝলসে গেল শ্বাশুরি মনোয়ারা বেগমের পুরো শরীর। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ভূঁইয়ারা গ্রামে।

মনোয়ারা বেগমের স্বামী আনোয়ার হোসেন জানান, শুক্রবার সকালে পুত্রবধু শারমিন আক্তার তার ছেলে সৈকত ও মুন্সীকে মারধর করেন। বৃহস্পতিবার নাতিদের মারধরের প্রতিবাদ করায় শুক্রবার সকালে ঘুমন্ত অবস্থায় পুরো শরীরে ফুটন্ত গুরম পানি দিয়ে ঝলসে দেয়। এসময় তার ডাক চিৎকারে বাড়ির লোকজন ছুটে এসে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লক্সে ভর্তি করে।

স্থানীয় অধিবাসী সাথী আক্তার জানান, আনোয়ার হোসেনের ছেলে সমীর হোসেন ২০১৪ সালে একই উপজেলার নলুয়া চাঁদপুর পানপাড়া গ্রামের আলী আজার হোসেনের মেয়ে শারমিন আক্তারের বিয়ে হয়। পুত্রবধু শারমিন আক্তারের গৃহে দুটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে শ্বাশুড়ির সাথে শারমিন আক্তারের পারিবারিক কলহ চলছিল। নাতিদেরকে মারধরের বাধা দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শারমিন আক্তার এভাবে ফুটন্ত গরম পানি দিয়ে আমার চাচীকে ঝলসে দিবে এটা কল্পনা করা যায় না।

আহত মনোয়ারা বেগম, শুক্রবার সকালে আমি সুয়ে ছিলাম। ঘুমন্ত অবস্থায় পুত্রবধু শারমিন আক্তার ফুটন্ত গরম পানি আমার উপর ঢেলে দেয়। এতে তাৎক্ষনিক আমার পুরো শরীর ঝলসে যায়।

এদিকে অভিযুক্ত পুত্রবধু শারমিন আক্তার মা সাহেদা বেগম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাটি শুনে আমি তাৎক্ষনিক ভূঁইয়ারা গ্রামে এসেছি। তবে আমার মেয়ে যে ঘটনাটি করেছে তা ন্যাক্করজনক। এদিকে অভিযুক্ত পুত্রবধু শারমিন আক্তারের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি কথা বলতে চাননি। তবে পুত্রবধু শারমিন আক্তারের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ভূক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী।

কচুয়া থানার ওসি মো. মহিউদ্দিন বলেন, গরম পানি দিয়ে শরীর ঝলসে দেয়া এমন ঘটনাটি আমার জানা নেই। এ বিষয়ে ভূক্তভোগী কোনো পরিবার অভিযোগ করেনি, তবে অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরো দেখুনঃ