কর্মজীবী নারীর ঘরে বাইরে চ্যালেঞ্জ
অনলাইন ডেক্স।।
কর্মজীবী নারী শব্দটি শুনলেই চোখে ভেসে ওঠে একজন ব্যস্ত ও দায়িত্বশীল এক নারীর চেহারা। দশভুজার মতো কর্মজীবী নারী ঘরে ও বাইরে দুই জায়গাতেই নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করে থাকেন। পরিবার, কর্মক্ষেত্রে, সমাজ সর্বত্রই নারীর জন্য চ্যালেঞ্জ একটু বেশি। কর্মজীবী নারীর চ্যালেঞ্জটা যেন একটু বেশি। সংসার-সন্তান সামলে কর্মক্ষেত্রকেও দিতে হয় সমান গুরুত্ব। কর্মজীবী নারী শব্দটি শুনলেই চোখে ভেসে ওঠে একজন ব্যস্ত ও দায়িত্বশীল এক নারীর চেহারা।
১৯৪৮ সালের মানবাধিকার সনদে নারীর অধিকার অর্জনের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়। জাতিসংঘ নারীর অধিকার নিশ্চিত কারার জন্য আন্তর্জাতিক নারী বর্ষ পালন, নারী দশক ঘোষণা, বিশ্ব নারী সম্মেলন, সিডও সনদসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে। নারীকে তার যথাযথ সম্মানের আসনে বসাতে হলে পুরুষদের যেমন নারীর প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আসতে হবে। তেমনি নারীদেরও তাদের মর্যাদার কথা মনে রাখতে হবে।
সততা- সম্পর্কের ক্ষেত্রে মূল স্তম্ভ হচ্ছে সততা। প্রতিটি সম্পর্কের বিষয়ে সততা দেখাতে হবে। একজনকে অন্যজনের অনেক কাছে নিয়ে আসবে যখন সে বলতে পারবে, ‘যাই হোক তুমি আমার সম্পর্কে সত্যটাই জানবে।’
নমনীয়তা- পুরুষ একজন নারীকে তার শান্ত এবং নমনীয় স্বভাবের জন্য বেশি পছন্দ করে। নারীর নমনীয় স্বভাব তাকে আকর্ষণীয় করে তোলে। একজন নমনীয় স্বভাবের নারী উচ্চৈঃস্বরে চিৎকার, গলাবাজি করে না। ঘরের বাইরে নমনীয় স্বভাবের পরিচয় দেয় তখন তাকে অনেক বেশি কোমল করে তোলে। একজন নারীর শারীরিক অঙ্গভঙ্গি, কথা বলার ধরন, চোখের নরম চাহনি পুরুষকে আকর্ষণ করার হাতিয়ার হতে পারে।
বিশ্বস্ততা- একজন নারীর শান্ত স্বভাব তাকে পুরুষের কাছে বিশ্বস্ত করে তোলে। পুরুষ তখনই নারীর প্রতি আকর্ষণবোধ করে যখন সে তার কাছে সব গোপন কথা শেয়ার করতে পারে। পছন্দের পুরুষকে কাছে টানতে আপনার স্বভাবসুলভ সরলতা ও লাজুকতার সাহায্য নিন। এমন কিছু কখনও করা যাবে না যাতে করে দু’জনের মধ্যে বিশ্বাস নষ্ট হয়ে যায়। শুধু অবিশ্বাসই একটি সম্পর্ক ধ্বংস করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট।
ধীরস্থির স্বভাব- আশ্চর্য হলেও সত্য নারীদের কাজ বা চলাফেরার ধীরগতি তাকে আকর্ষণীয় করে তুলতে পারে। একজন নারী যখন নিজেকে শারীরিক বা মানসিকভাবে প্রকাশ করতে সময় বেশি নেবে তখন তা তাকে বেশি আকাক্সিক্ষত করে তোলে। এতে সঙ্গীর প্রতি অনুভূতিও বৃদ্ধি পেতে থাকে।
ক্ষমা- একদিনে কোনো সম্পর্ক গড়ে ওঠে না। কোনো ভুল হলে প্রথমেই সম্পর্ক ভেঙে দেয়ার চিন্তা না করে সংশোধনের সুযোগ দিতে হবে।
সঙ্গীর গুরুত্ব প্রকাশ করুন- সব পুরুষ যে কোনো সম্পর্কে নিজের আধিপত্য বিস্তার ও তা প্রকাশ করতে বেশি ভালোবাসে। পুরুষরা লাজুক নারীদের বেশি পছন্দ করেন কারণ তারা বোঝেন, লাজুক মেয়েদের সহজে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। পুরুষরা চায় তার নারী সঙ্গীটি যেন তার কথা শোনে, তাকে গুরুত্বের সঙ্গে নেয়, কোনো ব্যাপারে অমত হলেও চিৎকার বা রাগারাগি না করে।
শান্ত/অননিউজ