কাতার বিশ্বকাপ মাতিয়ে তুললো গ্যালারিতে থাকা আর্জেন্টাইন সমর্থকরা

অনলাইন ডেস্ক ।

শনিবার, ২৬ নভেম্বর, ফাইনাল খেলা ভেবেই মাঠে নামে আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপে টিকে থাকতে হলে জয়ের কোনও বিকল্প ছিল না মেসি ও তার দলের হাতে। অবশেষে মেসি ও এনজো ফার্নান্দেজের করা গোলেই মেক্সিকোকে ২-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে বিশ্বকাপে টিকে গেলো মেসির দল। তবে আর্জেন্টাইন সমর্থকরা খেলার পুরো সময়টাজুড়ে ছিলেন উদ্বেলিত। বলা চলে, শনিবার বিশ্বকাপকে আলোকিত করলেন আর্জেন্টাইন সমর্থকরা।

কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে যেন বজ্রধ্বনির আওয়াজ। আর্জেন্টিনা ও মেক্সিকোর ভক্তরা নির্ধারিত সময়েই হাজির হন গ্যালারিতে। হাজার হাজার পতাকা শোভা পাচ্ছিল গ্যালারিতে। ফুটবল কিংবদন্তী দিয়েগো ম্যারাডোনার ছবি সম্বলিতও ব্যানারও ছিল কারও কারও হাতে। বোঝাই যাচ্ছিল, লিজেন্ডকে ভুলতে চাননি আর্জেন্টাইন সমর্থকরা।

কাতারে বিশ্বকাপ দেখতে যাওয়া আর্জেন্টাইন সমর্থকরা মেক্সিকোর বিরুদ্ধে ম্যাচের জিততে আগে থেকেই যুদ্ধ প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল বলে মনে হচ্ছিল অনেকের। যে যুদ্ধে কোনোভাবেই হারা যাবে না, কেননা হারলে ভেঙে যেতো ৩৬ বছর থেকে অপেক্ষায় থাকা আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে বিশ্বকাপ আয়োজনের পর থেকে এবারই আর্জেন্টাইন সমর্থকদের প্রাণবন্ত উপস্থিতি নজর কেড়েছে সবার। লিওনেল মেসির শার্ট পরা সৌদি আরবের ইব্রাহিম হুসেন বলেন, ‘তারা পাগল এবং সেরা! আমরা ঠিক এটির জন্যই অপেক্ষা করছিলাম। ম্যাচের আগে দোহা সমুদ্রের তীরে আর্জেন্টিনা এবং মেক্সিকানদের ব্যানার দেখছিলেন তিনি।

খেলার পুরো সময়জুড়ে আর্জেন্টিনা তাদের আধিপত্য ধরে রাখে। লিওনেল মেসি ২-০ ব্যবধানের জয়ে প্রথম গোলটি করেন যা টুর্নামেন্টের ইতিহাসে মেক্সিকানদের বিরুদ্ধে তাদের চতুর্থ জয়।

ইসরায়েলের দ্রুজ সম্প্রদায়ের আয়মান কাদি বলেন, ‘আমার বলার ভাষা নেই’। এটি তার প্রথম বিশ্বকাপ খেলা দেখা। স্টেডিয়ামের বাইরে তিনি বলছিলেন ‘প্রথম গোলের পর সবাই পাগল হয়ে গিয়েছিল। দুই দিনের জন্য আসতে আমার অনেক টাকা খরচ হয়েছে, কিন্তু এটি তার চেয়েও মূল্যবান। আমি এখানে থাকার কথা কখনই ভুলবো না।’

ফুটবল অনুরাগীরা প্রায় ৯০ হাজার দর্শকের ধারণক্ষমতা সম্পন্ন লুসাইল স্টেডিয়ামকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল, যা আগে কখনো হয়নি।

লস অ্যাঞ্জেলেসের মেক্সিকান আরমান্দো মানকো বলছিলেন, ‘তারা একটি জায়গা ছেড়ে দিয়েছে এবং আপনি যদি মেসিকে জায়গা দেন তবে সে আপনাকে মেরে ফেলবে।’

শনিবার ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে কোনও জটিল পরিস্থিতির খবর পাওয়া যায়নি দোহাজুড়ে। রাজধানীর উত্তরে লুসাইল স্টেডিয়াম যেখানে ফাইনাল খেলাও অনুষ্ঠিত হবে।

সূত্র: রয়টার্স

আরো দেখুনঃ