কারাভোগ শেষে হিলি সীমান্ত দিয়ে দেশে ফিরে গেলেন একনারীসহ পাচ ভারতীয় নাগরিক
হিলি প্রতিনিধি
অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে আটক হয়ে দুই থেকে সাতবছর মেয়াদে কারাভোগ শেষে দিনাজপুরের হিলি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে নিজ দেশ ভারতে ফিরে গেলেন এক নারীসহ পাচ ভারতীয় নাগরিক।
বুধবার দুপুর ১২টায় হিলি সীমান্তের চেকপোষ্ট গেটের শুন্যরেখা দিয়ে বিজিবি ও বিএসএফের উপস্থিতিতে ভারতের হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট ওসি শিপ্রা রায়ের নিকট তাদের হস্তান্তর করে বাংলাদেশের হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোষ্টের ওসি মো.বদিউজ্জামান। এসময় সেখানে হাকিমপুর থানার ওসি খায়রুল বাশার, বিজিবির হিলি আইসিপি ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার মোকলেছুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
কারাভোগ শেষে ভারতে ফেরত যাওয়া নাগরিককরা হলো, ভারতের দক্ষিন দিনাজপুর জেলার হিলি থানার পশ্চিম আপতৈর গ্রামের হোপনা হেমরমের ছেলে লিপলাল হেমরম (৪৪), আসামের ধুবরি জেলার শুকচর থানার সিংগতিমারি গ্রামের শহিদুর রহমানের ছেলে নুর আমিন (৩৩), বর্ধমান জেলার গর্জনাচুটি থানার গর্ধমানমারী গ্রামের নরেন হাসদার ছেলে সামিউল হাসদা (৩৮), একই এলাকার মন্টু মুর্মর স্ত্রী শান্তনা মুর্মু (৪৮), মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার চোরদিঘি গ্রামের একরাম মার্ডির ছেলে রুবেল মার্ডি (৪৩)। এরা কেউ আতিœয়ের বাড়িতে বেড়াতে, কেউ মাদক খেয়ে ভুল করে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে।
ফেরত যাওয়া লিপলাল হেমরম বলেন, আমার বাসা ভারতের হিলিতেই। আমরা আদিবাসী হওয়াতেই মাদক সেবন করি। আজ থেকে সাতবছর পুর্বে মদ খেয়ে দিক ভুল করে ভারতের হিন্দুমিশন এলাকা দিয়ে বাংলাদেশের রেললাইনের উপর চলে আসি। এসময় আমার কাছে মদের বোতল ছিল। পরে বিজিবি সদস্যরা আমাকে আটক করে থানায় দিলে সেখান থেকে দিনাজপুর কারাগারে প্রেরন করলে সেখানে ৭বছর ধরে কারাভোগ করি।
হাকিমপুর থানার ওসি খায়রুল বাশার জানান, এক নারীসহ পাচ ভারতীয় নাগরিককে ভারতে ফেরত পাঠানো হলো। এরা ২০১৫, ২০১৯ ও ২০২০ সালের বিভিন্ন সময়ে দেশের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করলে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের আটক করে। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের পুর্বক আদালতে উপস্থাপন করা হলে তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়। এর পর তারা নওগা ও দিনাজপুর কারাগারে ২ থেকে ৭বছর মেয়াদে কারাভোগ করে। সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ায় দুদেশের মাঝে চিঠি চালাচালি ও আইন মোতাবেক সকল প্রক্রিয়া সম্পুর্ন হলে আজ তাদের মুক্তির আদেশ হলে কারাকতৃপক্ষ তাদেরকে আমাদের নিকট হস্তান্তর করে। পরে আমরা ইমিগ্রেশন সকল প্রক্রিয়া সম্পুর্ন করে তাদেরকে ভারতীয় ইমিগ্রেশন কতৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করি।