কুমিল্লা ২৭ নং ওয়ার্ডকে আগামীতে উন্নয়নের রোল মডেলে নিতে চান মোর্শেদ

শান্তনু হাসান খান।।

১৬০ বছরের ঐতিহ্যবাহী কুমিল্লা পৌরসভা থেকে সিটি কর্পোরেশনে উন্নীত হয় ২০১১ জুনে। এরপর ২০১২ তে সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচন। নাগরিকদের সুবিধার জন্য সাবেক পৌরসভার ১৮টি ওয়ার্ড এবং সদর দক্ষিণের ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে মোট ২৭টি ওয়ার্ড নিয়ে সিটি কর্পোরেশন চলমান রয়েছে। এখানে ২৭টি ওয়ার্ডে ২৭ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের মোট ৯ জনকে নিয়ে ৩৬জন কাউন্সিলর বিদ্যমান। দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি জনগণ সুবিধা ভোগ করছেন, কোথাও করছেন না। অপরিকল্পিত নগরায়নের মধ্য দিয়ে সুবিধা বঞ্চিত মানুষরা বসবাস করছেন ২৭টি ওয়ার্ডে সিটির নাগরিক হিসেবে।

চলতি রোজার মাঝামাঝি তফসিল ঘোষণা করার সম্ভাবনা রয়েছে। আর ঈদের পর ১৫ মে সম্ভাব্য নির্বাচন হতে পারে। এদিকে এবারের নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়টি আলোচিত হয় কয়েকদিন আগে। সিলেট ও কুমিল­া সিটি কর্পোরেশনের পাশাপাশি ২১৭টি ইউপি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে। আর তখনই সম্ভাব্য প্রার্থীরা একটু নড়েচরে বসবেন বলে অনেকে আশা করছেন। কাউন্সিলরদের সীমাবদ্ধতা আর বাজেটের কারণে অনেক উন্নয়ন সফলতার মুখ দেখেননি অনেক ওয়ার্ডে। তারপরেও বিশাল কর্মযজ্ঞের মধ্যদিয়ে ২৭ নং ওয়ার্ডে যথেষ্ট উন্নয়ন সাধন করা হয়েছে বলে দাবী করছেন বর্তমান কাউন্সিলর মোহাম্মদ হাসান। তিনি আগামীতে কাউন্সিলর পদের প্রার্থী হিসেবে মাঠে থাকছেন বলে আমাদেরকে জানিয়েছেন। তার পাশাপাশি আরও ২/৩ জনের নাম উঠে এসেছে এলাকাতে। এর মাঝে যুবলীগের আবুল কালাম আর স্বেচ্ছাসেবক লীগের মোশারফ হোসেন মোর্শেদ। এরা সবাই দলের সমর্থন নিয়ে নমিনেটেড হতে চাইবেন। তাদের মাঝে অন্যতম জনগণের পছন্দের তালিকায় মোর্শেদ।

এলাকায় খবর নিয়ে জানা গেলো অনেক জনপ্রিয়তার মধ্যে স্বেচ্ছাসেবক লীগের মোশারফ হোসেন মোর্শেদের অবস্থান অনেকটাই পজেটিভ। তারুণ্যের প্রতীক নিয়ে মোর্শেদ দীর্ঘদিন এলাকায় সকাল বিকাল, রাত-দুপুর সবসময় মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি আগামী নির্বাচনের মাঠও গুচাচ্ছেন। সা¤প্রতিক করোনা কালেও তাঁর ভূমিকা কোনো অংশে কমতি ছিলো না-এ জন্য সে নন্দিত হয়ে আছেন তিনি। এলাকার ৮ হাজার ভোটাদের পছন্দের তালিকায় মোর্শেদের নামটি ঘুরে ফিরে আসছে।

পুরো নাম মোশারফ হোসেন মোর্শেদ। ৪২ বছরের মোর্শেদ পড়াশুনা করেছেন ধর্মীয় শিক্ষায় মাদ্রাসায়। পরবর্তী সময় চৌয়ারা কলেজে। ছোট বেলা থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করতেন। ছাত্র জীবনে ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে মিছিল মিটিং সমাবেশের মধ্য দিয়ে তার উত্থান হয়েছিলো। এক সময় ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন। পরে তিনি স্বেচ্ছাসেবক লীগের রাজনীতিও করেছেন- দীর্ঘ ১০ বছরেরও বেশী সময় ধরে। আর সেই সময় রাজনীতি করতে গিয়ে এলাকার বিএনপি নেতা মনিরুল হক চৌধুরীসহ জামাত-শিবিরের রোষানলে পড়ে ঘরবাড়ি ছাড়া হয়েছেন। হামলা-মামলারও শিকার হন অনেক। ২০১৫ সালে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য নির্বাচন হন। আর ২০১৭ সালে ২৭ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃত্ব প্রদান করে আসছেন। বর্তমানে মহানগর কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। তৃণমূল থেকে উঠে আসা মোর্শেদ এর আলাদা ইমেজ সৃষ্টি হয়েছে অনেক আগেই।

এদিকে ২৭ নং ওয়ার্ডটি কুমিল­া শহর থেকে অনেকটা দূরে। অনেক সমস্যায় জর্জরিত এলাকাটি। জলবদ্ধতা, কাঁচা সড়ক, নির্মাণসহ ব্রীজ-কালভার্ট ও অবকাঠামো উন্নয়নে তিনি অবদান রাখতে চান আগামীতে তিনি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। আর সবটাই দিক নির্দেশনা মেনে চলবেন তার প্রিয় নেতা কুমিল­া-৬ আসনের সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এর নেতৃত্বে। তিনি বলেন, আমার ২৭ নং ওয়ার্ডের অতীতের অপবাদগুলো বিদায় করে জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের রোল মডেলে থেকে ডিজিটাল ওয়ার্ড নির্মাণের সচেষ্ট হবো এলাকায় মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজিসহ অসামাজিক কর্মকান্ডা ঝেটিয়ে বিদায় করবো। আর উন্নয়নের জন্য সর্বস্তরের জনগণকে নিয়ে-এলাকার মুরুব্বী ও সর্দারদের সমন্বয় করে এলাকার সমস্যাগুলো নিরসন করবো ইনশাল্লাহ।

আরো দেখুনঃ