কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মার ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি

জাহাঙ্গীর হোসেন জুয়েল, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি ।।

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীতে বন্যার পানি কমে যাওয়ায় ফের ভাঙন দেখা দিয়েছে। মাস খানেক ভাঙন বন্ধ থাকলেও নদীতে পানি কমায় ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। এতে প্রতিদিনই ৫০ থেকে ৬০ মিটার জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের ৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পদ্মার ভাঙনে কয়েক হাজার একর আবাদী জমি ও ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।

এছাড়া হুমকির মুখে রয়েছে ভেড়ামারার রায়টা-মহিষকুন্ডি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, বাংলাদেশ-ভারত বিদ্যুৎ সঞ্চালন খুঁটি। ৩টি ওয়ার্ডের প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষ। ভাঙন ঝুঁকিতেও রয়েছে ওই এলাকার বেশ কয়েকটি সরকারি-বেসরকারি স্থাপনাও। পদ্মা নদীর এই ভাঙনরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানিয়েছে মরিচা ইউনিয়নের গ্রামবাসীরা।

নদীভাঙন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পদ্মা নদীতে বন্যার পানি কমে যাওয়ার সাথে সাথে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। মরিচা ইউনিয়নের হাটখোলাপাড়া, ভুরকাপাড়া ও কোলদিয়াড় এলাকায় পদ্মা নদীর ভাঙনে অনেকের বসতবাড়ি ও হাজার হাজার একর আবাদী ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। হুমকিতে রয়েছে রায়টা-মহিষকুন্ডি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, ভারত-বাংলাদেশ বিদ্যুৎ সঞ্চালন খুঁটিও, সরকারি স্থাপনা, বিভিন্ন শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী জানান, ফসলি জমি ও বসতবাড়ি পদ্মাগর্ভে চলে যাওয়ায় তারা এখন সর্বশান্ত ও আশ্রয়হীন। ভাঙন ঠেকাতে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে তারা।

ভুরকাপাড়া এলাকার আলেক চাঁদ জানান, বন্যার পানি কমেছে তবে পদ্মা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। পদ্মার ভাঙনে এলাকার কৃষকদের শতশত বিঘা আবাদী জমি প্রতিদিন নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। এভাবে ভাঙন অব্যাহত থাকলে আর ভাঙনরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা না নেয়া হলে অচিরেই নদী তীরবর্তী কয়েকটি গ্রামের বসতবাড়ি, সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মসজিদ নদীতে তলিয়ে যাবে। পদ্মার ভাঙনরোধে দ্রæত স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানান তিনি।

মরিচা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ আলমগীর বলেন, ভাঙনরোধে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে অচিরেই মানচিত্র থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে মরিচা ইউনিয়নের ৩টি ওয়ার্ড। তাই পদ্মা নদীর ভাঙনরোধে স্থায়ী সমাধানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

তবে আশ্বাস নয়, সর্বগ্রাসী পদ্মার করাল গ্রাস থেকে এলাকাবাসীকে বাঁচাতে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার বলেন,বিষয়টি শুনেছি। নদীভাঙন রোধে জোরালো পদক্ষেপ নেয়া হবে।

আহসানুজ্জামান সোহেল/অননিউজ24।।

আরো দেখুনঃ