ক্ষতিকর তামাক পাতা চাষিদের অবস্থা নীল চাষীদের বাড়ছে মা ও শিশুর স্বাস্থ্য ঝুঁকি
সুভাষ বিশ্বাস, নীলফামারী।।
নীলফামারী তে তামাক আবাদে নারী ও শিশুরা যুক্ত হওয়ায় বাড়ছে মা ও শিশুর স্বাস্থ্য ঝুঁকি? ক্যানসারের মতো ভয়াবহ মরণব্যাধির আশংকা প্রকাশ করছে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ।
কৃষি বিভাগ কোনোভাবেই রোধ করতে পারছে না এই তামাক চাষ । কৃষি বিভাগ চাষীদের বিভিন্ন ভর্তুকি দিয়ে উৎসাহিত করছে ক্ষতিকর তামাক চাষের বিকল্প ভুট্টা, চাষে। তাতে সফলতার মুখ খুব একটা দেখেনি স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
অপর দিকে তামাকজাত পণ্য ( বিড়ি,সিগারেট, জদ্দা,গুল ) উৎপাদনকারীরা কৃষক ও চাষীদের পিছু ছাড়ছেনা বিভিন্ন প্রলভোন, অগ্রিম টাকা, তামাক গাছের চারা, সার,কীটনাশক সহ জমিতে তদারকি করে বাজার দরে নগদ টাকায় তামাক কিনে নিয়ে যাচ্ছে। ব্রিটিশ শাসন আমলের নীল চাষীদের মত অবস্থা, সেসময় শোষন ও নির্যাতনের মধ্য দিয়ে নীল চাষ করাতে বাধ্য করা হতো। এখন তামাকজাত পণ্য উৎপাদন কারি প্রতিষ্ঠান গুল টাকার বিনিময়ে পরিবারের মহিলা সদস্যদের উৎসাহিত করছেন, তামাক পাতা চাষ করতে। ফলে বেড়ে গিয়েছে মা ও শিশু স্বাস্থ্য ঝুঁকি ।
সদর উপজেলার রামনগর,টুপামারী, লক্ষীচাপ, ইউনিয়ন ও জলঢাকা উপজেলায় উল্লেখযোগ্য হারে চোখে পড়ার মতো তামাক পাতা আবাদ হয়। লক্ষীচাপ ইউনিয়নের চাষি শফিকুল জানান ম্যানেজার হামাক টাকা, সার, ওষধ দেখাশুনা শোগ করে ফির বাজারত য়ে দাম ওঠে সেই টাকায় হামাক দেয়। টুপামারী সুখ ধন এলাকার চাষি আজাহার ও স্বপন জানান ক্ষতিকর জানিয়াও চাষ করি, কেনে করি কবার পারিনা। একটা লেবার নিলে ৪০০ টাকা হাজিরা দিবার লাগে বৌ ছাওয়ায় করিলে টাকা টা ঘড়ত থাকে। বছরে একটা সময় কোম্পানির দিয়া কয়টা টাকার মুখ দেখি।
জেলায় কত হেক্টর জমিতে তামাক পাতা আবাদ করছে চাষীরা তার কোনো পরিসংখ্যান নেই কৃষি বিভাগে।
সিভিল সার্জন ডা; জাহাঙ্গীর কবির বলেছেন, শুকনো সব তামাক ই পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। তামাক চাষ করেন এবং প্রক্রিয়াজাতকরণের সঙ্গে যুক্ত থাকেন তারা ধূমপায়ীদের মত ক্ষতিগ্রস্ত হন। তামাক পাতা শুকানো ও গুড়া করার সময় তামাকের গুড়া শ্বাস নালি দিয়ে শরীরে প্রবেশ করে এতে তাদের ক্যান্সার হতে পারে শিশু দের ক্ষেত্রে এটি আরো ভয়াবহ।