খাগড়াছড়িতে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা শুরু

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি।।
“গাছ লাগিয়ে যত্ন করি, সুস্থ প্রজন্মের দেশ গড়ি” এই প্রতিপাদ্যে খাগড়াছড়িতে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা শুরু হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২০জুলাই) সকাল ১০টায় খাগড়াছড়ি বন বিভাগের আয়োজনে ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় জেলা শহরের খাগড়াছড়ি পৌর টাউন হল প্রাঙ্গণে এ বৃক্ষমেলা অনুষ্ঠিত হয়। বৃক্ষমেলা উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে একটি র‌্যালী বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাউন হল প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।

সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেলাটি শুভ উদ্বোধন করেন শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, পাহাড়ে মানুষেরা জুম চাষ ছাড়া বাঁচে না। কিন্তু বর্তমানে সে জুম চাষ অনেকে করতে পারছে না, করছে না। এখন অনেকে ফলদ বাগানের ঝুঁকে গেছে। আবার অনেকে জুম চাষকে পরিবেশ বিপর্যয়ের দায়ী করেছে। শুধু জুম চাষকে দায়ী করলে হবে না। জুম চাষের পরিবর্তে বিকল্প চাষের উদ্যোগ নিতে হবে। পার্বত্যাঞ্চলে আগে বড় বড় বৃক্ষ রয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে সীমান্ত সড়ক সহ সরকারি উন্নয়ন কাজের জন্যও আমাদের পার্বত্যাঞ্চলের বড় বড় গাছ নিধন হয়েছে। তা পূরণে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। বেশি বেশি করে বৃক্ষ চারা রোপণ করতে হবে, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে। আয়োজিত অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মোঃ সহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী, খাগড়াছড়ি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মাহমুদা বেগম, ভারত প্রত্যাগত শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণ চন্দ্র চাকমা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) টীটন খীসা, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শানে আলম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে অতিথি বক্তব্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুই প্রু চৌধুরী বলেন জেলায় ১২১টি মৌজার মধ্যে ১৯টি মৌজা বন রয়েছে। এটিও বিলুপ্তির পথে। এজন্য সকলকে সচেতন হতে হবে। বেশি করে বৃক্ষরোপন করে বনায়ন সৃষ্টি করতে হবে। জীববৈচিত্র্য রক্ষার্থে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। সভাপতির সমাপনী বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, প্রতি উপজেলায় দশ হাজার চারা রোপণের জন্য প্রত্যেক উপজেলায় বলা হয়েছে। অনেক উপজেলায় ইতিমধ্যে কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছে। অন্যদিকে আলুটিলা পর্যটনে ১হাজার বাগান বিলাস চারা রোপণের কার্যক্রম চলমান। আর মানিকছড়ি পার্কে পাখির অভয়ারণ্য বাড়াতে বৃক্ষরোপন কর্মসূচির হাতে নেওয়া হয়েছে। এজন্য সবার সহযোগিতা চান তিনি। সভা শেষে ২হাজার ওষধি, ফলজ, বনজ সহ বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষের চারা বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়।
সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষ মেলায় ১৫টি স্টল অংশগ্রহণ করেন।

এফআর/অননিউজ

আরো দেখুনঃ