গাড়াগ্রাম দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের তদন্ত প্রতিবেদন হাতে আসলেই ব্যবস্থা গ্রহণ

নীলফামারী প্রতিনিধি।।
কিশোরীগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আব্দুস সাত্তারের বিরুদ্ধে। তথ্য গোপন,ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর জাল, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ।

এসিল্যান্ডকে আহবায়ক করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত করেছেন। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাবার পরে স্বাক্ষর জাল করা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের কথা জানিয়েছেন।

শিক্ষা অফিসের একটি সূত্র জানায়, গাড়াগ্রাম দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আব্দুস সাত্তারের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের স্বাক্ষর জাল সহ বিভিন্ন দুর্নীতির সত্যতা খুঁজে পেয়েছেন গঠিত তদন্ত কমিটি।

প্রধান শিক্ষক মো: আব্দুস সাত্তার নিজেই ঘটনা সত্যতার স্বীকারোক্তিমূলক জবাব দিয়েছেন । তিনি ২০২২ সালের ১১ অক্টোবর থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ থানার জি আর নং ১১/৯৮ /২০২২ইং এ ফৌজদারী মামলায় ১০ দিন হজত বাস করেন। এ ঘটনাটির সম্পূর্ণ তথ্য গোপন রাখলেও পরে এর সত্যতা স্বীকার করেন।

এছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে বেতন-ভাতা উত্তোলনের বিষয়ে স্বীকারোক্তি মূলক জবাবে বলেন স্বাক্ষর জাল করেছিলাম সত্যি কেন করেছিলাম জানিনা, এ বিষয়ে আমি স্বীকারোক্তি মূলক লিখিত জবাব দিয়েছি এসিল্যান্ড ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে।

কিশোরীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-ই -আলম সিদ্দিকী জানিয়েছেন, এ বিষয়ে তদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। কয়েকটি ঘটনার সত্যতা পাওয়া গিয়েছে।

নীলফামারী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো: হাফিজুর রহমান জানান, তদন্ত প্রতিবেদন পাবার পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা রংপুর অঞ্চল এর উপ-পরিচালক মো: শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাবার পর বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এফআর/অননিউজ

আরো দেখুনঃ