গাফিলতির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান লিবিয়ার

বন্যার ত্রাণ কার্যক্রমে গাফিলতির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে লিবিয়ার প্রশাসন। তারা বলছে, সাহায্য সংস্থাগুলোর ত্রাণ এখনও এসে পৌঁছেনি। আশ্রয়, বিশুদ্ধ খাবার পানি এবং খাদ্য সরবরাহের ঘাটতির কারণে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন বাসিন্দারা। কমপক্ষে ৮ লাখ ৮৪ হাজার মানুষের সহায়তার প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

সড়ক ও সেতু ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বিস্তীর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ ও টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এতে দুর্গত এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করা যাচ্ছে না। জাতিসংঘের হিসাবে এই বন্যায় চার হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক বিশ্বের মতে, দেশটির কর্মকর্তাদের অবহেলার কারণেই ঘটেছে এই বিপুল প্রাণহানি।

এ অভিযোগ অস্বীকার করে পূর্ব লিবিয়ায় ক্ষমতাসীন সরকারের কর্মকর্তারা দাবি করেছেন— সেনা কর্মকর্তা ও সদস্যরা ঝড়ের আগে দেরনা শহরের বাসিন্দাদের ঝড় সম্পর্কে সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন, নিরাপদ স্থানে সরেও যেতে বলেছিলেন। কিন্তু সাধারণ লোকজনের অনেকেই এই সতর্কবার্তাকে ‘অতিরঞ্জিত’ মনে করে আমল দিতে চাননি।

গত ১০ সেপ্টেম্বর লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলীয় শহর দেরনায় আছড়ে পড়ে ভূমধ্যসাগরে উদ্ভূত প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েল। ঝড়ের ফলে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাস এবং শহরটি ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া ওয়াদি দেরনা নদীর বাঁধ ভেঙে ভেসে যায় শহরটি।

বস্তুত, ঝড়-জলোচ্ছ্বাস-বন্যায় দেরনার অধিকাংশ আবাসিক ভবন ভেঙে পড়েছে এবং সেসব ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে এখনও উদ্ধার হচ্ছে শত শত মরদেহ। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত ছয় দিনে দেরনার বিভিন্ন ধ্বংসস্তুপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১১ হাজারের বেশি মরদেহ। এখনও অন্তত ২০ হাজার মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন।

এফআর/অননিউজ

আরো দেখুনঃ