টাইগারদের সম্ভাব্য অধিনায়কের দৌড়ে যে তিন ক্রিকেটার

বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন তামিম ইকবাল। গত ৩ আগস্ট বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সাথে বৈঠকের পর গণমাধ্যমে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন দেশসেরা এই ওপেনার। তার সরে দাঁড়ানোর ঘোষণায় ক্রিকেট পাড়ায় শুরু হয়েছে নানা জল্পনা কল্পনা।

আগামী অক্টোবর-নভেম্বর মাসে ভারতে অনুষ্ঠিত হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। তার আগে আগামী ৩০ আগস্ট মাঠে গড়াবে এবারের এশিয়া কাপের আসর। এজন্য ১২ আগস্টের মধ্যে এশিয়া কাপের দল ঘোষণার সময় বেঁধে দিয়েছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। তাই দল নির্বাচন ও সম্ভাব্য অধিনায়ক নিয়ে চলছে বোর্ডের আলোচনা।

মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নতুন অধিনায়ক ইস্যুতে জরুরি বোর্ড সভায় বসেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে এখনও কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি নাজমুল হাসান পাপনের বোর্ড। তবে আগামী দুই-দিন দিনের মধ্যেই অধিনায়কের নাম জানানো হবে বলে জানা গেছে।

টাইগারদের নতুন অধিনায়কের সম্ভাব্য তালিকায় আছেন সাকিব আল হাসান, মেহেদি হাসান মিরাজ ও লিটন দাস। তবে বিশ্বকাপ এবং এশিয়া কাপের মতো বড় ইভেন্ট বিবেচনায় সাকিবের অভিজ্ঞতাই ভরসা রাখতে পারে বিসিবি। তবে এশিয়া কাপে মিরাজের হাতেও দেখা যেতে পারে নেতৃত্বভার।

বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসও সম্ভাব্য অধিনায়কদের প্রসঙ্গে খোলাসা করেছেন। সভা শেষে গণমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘আপনারা জানেন যে সম্ভাব্য তালিকায় সাকিব আছে, লিটন আছে, মিরাজ আছে। এই নামগুলোই উঠে এসেছে। আপনারাও নামগুলো জানেন এদের সঙ্গেই মূলত আলোচনা করা হবে।’

তবে সাকিবেরই অধিনায়ক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বেশি। তামিমের সরে যাবার পর থেকেই অধিনায়ক হিসেবে সাকিবের নামটাই উচ্চারিত হচ্ছিল জোরেশোরে। এর আগেও দলকে ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সাকিব। বর্তমানে টেস্ট আর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেও অধিনায়ক তিনি।

লিটন কুমার দাস দলের সহ-অধিনায়ক আছেন বেশ কিছুদিন ধরে। তামিমের অনুপস্থিতিতে দল সামলেছেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। ঘরের মাঠে ভারতকে সিরিজ হারিয়েছে তার নেতৃত্বের দল। এ ছাড়া সবশেষ আফগানিস্তান সিরিজে শেষ দুই ওয়ানডে ম্যাচেও অধিনায়ক ছিলেন তিনি। যদিও খুব বড় ধরণের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়নি তাকে।

এই তালিকায় আছেন মেহেদি হাসান মিরাজও। জাতীয় দলে পরীক্ষিত পারফর্মারদের একজন এই স্পিন অলরাউন্ডার। আট নাম্বারে দলের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এর আগে যুব বিশ্বকাপেও দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা আছে তার। দলে তরুণদের মাঝে অধিনায়ক হিসেবে তার সম্ভাবনা উজ্জ্বল বলেই ভাবনা অনেকের।

এদিকে এশিয়া কাপের প্রাথমিক দলে আছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে মূল স্কোয়াডে থাকার সম্ভাবনা খুব ক্ষীণ তার। তার বদলে নম্বর সেভেন হিসেবে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল সৌম্য সরকারের। রিয়াদের থাকা না থাকা নিয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে কৌশলে উত্তর দেন ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির প্রধান।

জালাল ইউনুস বলেন, দেখেন, এটা সিলেক্টরদের ইস্যু, টিম ম্যানেজমেন্ট ইস্যু। এটা তাদের কাছেই থাক। আমি এই পজিশনের নয়। কারণ কারণ, ফাইনাল ডিসিশন তারাই নেবে।

আগামী ৩০ আগস্ট মাঠে গড়াবে এবারের এশিয়া কাপের আসর। হাইব্রিড মডেলে টুর্নামেন্টটি পাকিস্তান ও শ্রীলংকার মাটিতে যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ৩১ আগস্ট শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে এশিয়া কাপের মিশন শুরু করবে বাংলাদেশ। এরপর গ্রুপ পর্বে নিজেদের পরের ম্যাচে ৩ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামবে টিম টাইগার্স।

এফাার/অননিউজ

আরো দেখুনঃ