তাবলীগ জামাতের বৈষম্য নিরসনের দাবিতে পঞ্চগড়ে ছাত্রদের সংবাদ সম্মেলন
ডিজার হোসেন বাদশা, পঞ্চগড় প্রতিনিধি:

বাংলাদেশ তাবলীগ জামাতের দুই পক্ষের মধ্যে চলমান বৈষম্য ও সংঘাত নিরসনের দাবিতে পঞ্চগড়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে একদল ছাত্র।
মঙ্গলবার (২১জানুয়ারি) বিকেলে পঞ্চগড় মকবুলার রহমান সরকারি কলেজ হল রুমে সচেতন ছাত্র সমাজের ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলন করে তারা। এ সময় ৩ টি প্রস্তাব তুলে ধরেন তিনি।
প্রস্তাবগুলো হলো উভয়পক্ষ যেন তার সর্বোচ্চ মুরব্বিদের নিয়ে জোড়, ইজতেমাসহ অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে তা নিশ্চিত করা। কাকরাইল মসজিদ, ইজতেমা ময়দান ও দেশের প্রতিটি মসজিদে উভয়পক্ষের আমলের সমতা নিশ্চিত করা ও শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে উভয় পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য থেকে বিরত থাকা এবং ২০১৮ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ঘটে যাওয়া হত্যাকান্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মকবুলার রহমান সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র নুর আলিফ।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্ররা জানান, তৃতীয় পক্ষের উষ্কানিতে তাবলীগের মধ্যে দুই পক্ষের সংঘাত মুসলমানদের সম্পর্কে দেশে ও দেশের বাইরে নেতিবাচক ধারণার জন্ম দিচ্ছে।
দিন দিন দুই পক্ষের মধ্যে বৈষম্য ও সংকট বাড়ছে। সংকটের কারণে বাইরের দেশ থেকে তাবলীগের অনুসারীরা ইজতেমায় আসতে দ্বিধায় পড়ছেন। এভাবে চলতে থাকলে সংঘাত বাড়ার পাশাপাশি হাজার হাজার বিদেশি মেহমানদের মাধ্যমে দেশের যে আয় হতো সেটিও বন্ধ হয়ে যাবে।
তাই দ্রুত বৈষম্য ও সংঘাত নিরসনের জন্য প্রধান উপদেষ্টার কাছে দাবি জানান তারা।
দুই পক্ষকে এক করা সম্ভব না হলেও স্বাধীন ও শান্তিপূর্ণভাবে উভয়পক্ষ যেন তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে সেই দাবি জানান ছাত্ররা। ছাত্ররা নিজেদের তাবলীগের কোন পক্ষের অনুসারী দাবি না করে নিজেদের দায়বদ্ধতা থেকেই এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছেন বলে দাবি করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পঞ্চগড় নুরুন আলা নুর কামিল মাদরাসার ফাজিলের ছাত্র ফিরোজ আলম, মকবুলার রহমান সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র রাকিন আবসার বর্ষ, ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছাত্র সাজ্জাদ হোসেন, ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র রিফাত হোসেন ও জগদল ডিগ্রি কলেজের ইতিহাস বিভাগের ছাত্র সাদেকুল ইসলাম।