তীব্র গরমে নৈশ প্রহরীর মৃত্যু, ৭ শিক্ষার্থী অসুস্থ

মুরাদনগর প্রতিনিধি।।

তীব্র গরমে কুমিল্লার মুরাদনগরে এক বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী নিহত ও অপর বিদ্যালয়ের সাত শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। সোমবার দুপুরে উপজেলার রামচন্দ্রপুর আকাব্বরের নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও আলীরচর তায়মোস বেগম উচ্চ বিদ্যালয়ে এ দু’টি ঘটনা ঘটে। সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নৈশ প্রহরী নিহত ও শিক্ষার্থীদের অসুস্থতার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, উপজেলার রামচন্দ্রপুর আকাব্বরের নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী জালাল উদ্দিন (৪৯) সোমবার প্রতিদিনের মতো স্কুল মাঠে কাজ করতে ছিলেন। বেলা আনুমানিক পৈানে ১২টায় তীব্র গরমে সে হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়ে। স্থানীয়রা তখন তাকে রামচন্দ্রপুর বাজারে নিলে পল্লী ডাক্তার নোমান মিয়া তাকে মৃত ঘোষণা করেন। জালাল উদ্দিন রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের মনিরুল হকের ছেলে। তার স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

অপর দিকে মুরাদনগর সদর ইউনিয়নের আলীরচর তায়মোস বেগম উচ্চ বিদ্যালয়ে সোমবার সকাল ১০টা ক্লাস শুরু হয়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে অনেক শিক্ষার্থী গরমে হাঁসফাঁস করতে থাকে। এক পর্যায়ে দ্বিতীয় ঘন্টা চলাকালে অসুস্থ হয়ে পড়ে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী সামিয়া আক্তার, সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাহিমা আক্তার, অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী সামিয়া সায়মা ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মারিয়া আক্তার। তৃতীয় ঘন্টা চলাকালীন সময়ে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী উর্মি আক্তার, হ্যাপি আক্তার ও তাছলিমা আক্তার অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। পরে তাদের অভিভাবকদের ডেকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

রামচন্দ্রপুর আকাব্বরের নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী বিল্লাল হোসেন বলেন, নৈশ প্রহরী জালাল উদ্দিন মাঠে কাজ করাকালে হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাৎক্ষনিক তাকে রামচন্দ্রপুর বাজারে পল্লী ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাই। পরে ইসিজি করে জানতে পারি সে মারা গেছে।

এ বিষয়ে তায়মোস বেগম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুদা আক্তার বলেন, ক্লাস চলাকালীন সময়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হওয়ায় মাধ্যমিক স্যারের সাথে যোগাযোগ করে তৃতীয় ঘন্টার পর স্কুল ছুটি দেওয়া হয়েছে।

মুরাদনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী ফরিদ আহমেদ বলেন, তীব্র গরমের কারণে আকাব্বরের নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী জালাল উদ্দিন মারা যায়। তায়মোস বেগম উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ার বিষয়টি জানতে পেরে বিদ্যালয় ছুটি দেওয়ার জন্য বলেছি।

এফআর/অননিউজ

আরো দেখুনঃ