দাউদকান্দি বারপাড়া ইউপি নির্বাচনে ৯ চেয়ারম্যান প্রার্থীর একমঞ্চে শপথ

নেকবর হোসেন

সন্ত্রাস, দুর্নীতি, মাদকমুক্ত করাসহ এলাকার উন্নয়নে নিজেদের আত্মনিয়োগ করার শপথ নিলেন বারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রতিদ্বন্দ্বী নয়জন চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ সকল সাধারণ মেম্বার ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থীরা।

রবিবার (৫ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৪ টায় বারপাড়া ফুলমতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দাউদকান্দি মডেল থানার বিট পুলিশিংয়ের আয়োজনে একমঞ্চে সকল প্রার্থীরা শপথ বাক্য পাঠ করেন।
৯ চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন- মনির হোসেন তালুকদার (নৌকা), মাজহারুল ইসলাম (আনারস), মো. আলাউদ্দিন (ঘোড়া), এ কে আজাদ (টেবিল ফ্যান), আমীর হোসেন (অটোরিকশা), মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া (মোটরসাইকেল), নজিবুল বশর সাদ্দাম (রজনীগন্ধা), মো. মোবারক হোসেন (চশমা) ও সুমন মিয়া (টেলিফোন)।
বক্তব্যে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা নির্বাচনী আচরণবিধি সবার জন্য সমান, বহিরাগতদের প্রবেশে বিধিবিধান এবং তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় নেয়াসহ শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট প্রদানে পরিবেশ তৈরি করার দাবি জানান।

ইউনিয়নের সাধারণ ভোটার আশরাফ হোসেন খোকন ও নেসার আহমেদ শিকদার বলেন, ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ নিয়ে কেন্দ্র ভিত্তিক প্রশিক্ষণের কথা উল্লেখ করেন।
তারা বলেন, আমরা আতংকিত, এক জায়গায় ভোট দিলে অন্য খানে চলে যাবে, আমরা যেন সুন্দরভাবে ভোট দিয়ে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারি, সে নিশ্চয়তার দাবি জানাচ্ছি।
প্রার্থী এবং ভোটারদের দাবি প্রসঙ্গে উপস্থিত কর্মকর্তারা বলেন, দুরভিসন্ধিমূলক কোন পরিকল্পনা থাকে তা জেরে ফেলুন। এখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক টিমসহ সাদা পোশাকধারী টিমও মাঠে কাজ করছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার আশফাকুজ্জামান বলেন, যেহেতু উপজেলায় একটি ইউনিয়নে নির্বাচন, তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এখানে এলার্ট থাকবে। আর যারা বহিরাগতদের নিয়ে চিন্তা করছেন তারা সাবধান হয়ে যাওয়ার হুশিয়ার হওয়ার আহবান জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিনুল হাসান বলেন, ইভিএম ভোটিং নিয়ে আতংকিত না হওয়ার জন্য সবাইকে অনুরোধ করেন। আচরণবিধি লংগন করা হলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। দেয়ালে আঠা দিয়ে কোন পোষ্টার লাগানো যাবে না। ইভিএম নিয়ে অনেকেই শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। অনেকেই বিদেশে থাকলে তার ভোটও দেয়া হয়ে যেত। আর নিজের ভোট নিজে দেয়ার নিশ্চয়তা দিচ্ছে ইভিএম। এটি নিয়ে কোন বিতর্ক নেই। কুচক্রি মহল এটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টায় লিপ্ত। ছোটখাটো কিছু সমস্যা হলো বয়স্ক লোকের আঙ্গুলের ছাপ মিলতো গিয়ে সময়ক্ষেপন হলেও যতক্ষণ ভোটার উপস্থিতি থাকলে ভোট গ্রহন করা হবে।

বহিরাগতদের ব্যাপারে তিনি বলেন, পর্যাপ্ত পরিমান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা থাকবে, অবৈধ অস্ত্রের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করে তিনি বলেন, শুধু নির্বাচন নিয়ে কারো সাথে সম্পর্ক নষ্ট না করার অনুরোধ করেন। কারন একদিন নির্বাচন, কিন্তু সবসময় আপনারা একসাথে থাকবেন। সকল প্রার্থী নিজেদের এজেন্ট নিয়োগ করবেন। প্রিজাইডিং কর্মকর্তা শতভাগ নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালন করবে। সুষ্টু সুন্দর এবং উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন উপহার দিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এসময় উপস্থিত ছিলেন,মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আলমগীর ভূঞা (পিপিএম)৷
পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ৯ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ সদস্য ৪৪ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ১২ জনকে শপথ বাক্য পাঠ করান।

আরো দেখুনঃ