দাড়ি টুপি রাখার জন্য এ দেশের মানুষ নির্যাতিত হয়েছে
কুমিল্লা প্রতিনিধি ।।
১৬ বছর আগে যে গুম, খুন, নির্যাতন হয়েছে, তারই ধারাবাহিকতায় ২৪ এর বিপ্লব। দাড়ি, টুপি রাখার জন্য নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। এই কুমিল্লার চিকিৎসকরা নির্যাতিত হয়েছেন, গ্রেপ্তার হয়েছেন। এর কারণ, আমরা প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন করতে পারিনি। আমাদের রিমোট কন্ট্রোল দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হতো। এই নির্যাতনের জন্য এই বাংলাদেশ গড়ে তুলিনি। ছাত্রজনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এক নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। এই বাংলাদেশ যাদের হাত ধরে এসেছে, তাদের যেন মনে রাখি। কিছুদিন পর যেন ভুলে না যাই। তাদের ত্যাগের বিনিময়ে এই সুফল ভোগ করছি। আগের চেয়ে কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে। আমরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ঢুকব, তবে যোগ্যতা দিয়ে। আমাদের অযোগ্যতার কারণে কোনো প্রতিষ্ঠান যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম কুমিল্লা শাখার চিকিৎসকদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সংগঠনটির সহসভাপতি ডা. এ কে ওয়ালী উল্লাহ। শুক্রবার রাতে নগরীর একটি কনফারেন্স রুমে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
এনডিএফ কুমিল্লা শাখা যুগ্ম সেক্রেটারি ডা. মো. জুয়েল রানা সঞ্চালনায় ডা. মজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জামায়াত ইসলামীর মহানগর আমির কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, মহানগর সেক্রেটারি অধ্যাপক এ কে এম এমদাদুল হক মামুন, পেশাজীবী বিভাগের সভাপতি এডভোকেট ইয়াকুব আলী চৌধুরী, সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ বেলাল, সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মাহবুবুল ইসলাম মজুমদার,অধ্যাপক ডা. সফিকুর রহমান পাটোয়ারী, অধ্যাপক ডা. নাছির উদ্দীন মাহমুদ, সেক্রেটারি ডা. জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. জহিরুল আলম, ডা. মো. আরিফ চৌধুরী, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ডা. উম্মে কুলসুম মুনমুন, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. কাউছার হামিদসহ অন্যান্য চিকিৎসকবৃন্দ।
মতবিনিময় সভায় জামায়াত ইসলামীর মহানগর আমির কাজী দ্বীন মোহাম্মদ বলেন, আমরা তৃতীয়বারের মতো স্বাধীন হলেও তার স্বাদ ভোগ করতে পারব কিনা জানি না। আমাদেরকে ইসলামের আলোকে নিজেকে এবং দেশেকে পরিচালিত করতে হবে। দেশের জনগণের জন্য কখনো মেধা, কখনো শ্রম, কখনো পরামর্শ আবারও কখনো চিকিৎসাসহ যাকে যেভাবে সম্ভব সেভাবে পাশে দাঁড়াতে হবে।
সেক্রেটারি ডা. জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর বলেন, দেশের বিভিন্ন সংকটময় মুহূর্তে আমরা জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছি। করোনা মহামারিতে আমাদের এনডিএফের চিকিৎসকরা তাদের জীনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত দেশের মানুষকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছে। এতে আমরা অনেক ভালো ভালো চিকিৎসকদের হারিয়েছি। সিলেট ভয়াবহ বন্যা এবং ছাত্র আন্দোলনে আহত ছাত্র-জনতাকে বিভিন্ন বাধাবিপত্তির মধ্যে চিকিৎসা সেবা দিয়েছি। এনডিএফ সব সময় জনগণের পাশে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে ইনশাআল্লাহ।
মতবিনিময় সভায় চলমান বন্যায় চিকিৎসা সেবা দেওয়া ডা. কাউছার হামিদ, ডা. জাবেদ আহমেদ ও ডা. মঞ্জুর আহমেদ সাকীকে সম্মাননা দেওয়া হয়।