নইড়াইলে এক লাখ মোমবাতি জ্বালিয়ে ভাষা শহীদদের স্মরণ
আবদুস সাত্তার, নড়াইল।।
নড়াইলে এক লাখ মোমবাতি জ¦ালিয়ে ভাষা শহীদদের স্মরণ করা হয়েছে। “অন্ধকার থেকে মুক্ত করুক একুশের আলো”- এ শ্লোগানকে সামনে রেখে একুশ আলো উদ্যাপন পর্ষদের আয়োজনে ব্যতিক্রমধর্মী এ স্মরণানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এবারের এ আয়োজন নড়াইলের ভাষা সৈনিক প্রয়াত রিজিয়া খাতুনের নামে উৎসর্গ করা হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় নড়াইল সরকারী ভিক্টোরিয়া কলেজ কুরিরডোব মাঠে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি নড়াইল জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী, বিশেষ অতিথি পুলিশ সুপার মোহাঃ মেহেদী হাসান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা, একুশের আলো উদযাপন পর্ষদের সভাপতি নাট্যকার কচি খন্দকার, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক আশিকুর রহমান মিকু, একুশের আলোর সহ-সভাপতি আ্যাডভোকেট ওমর ফারুক, সাধারন সম্পাদক কচি খন্দকার, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি মলয় কুন্ড সহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।
উদ্বোধনের পর পরই তিন শতাধিক স্বেচ্চাসেবক চার একর বিশিষ্ট মাঠ জুড়ে মোমবাতি জ্বালানোর কাজে নেমে পড়ে। একে একে জ¦লে ওঠে লাখো মোমবাতি। সন্ধ্যায় নেমে আসা অন্ধকার দূর করে পুরো মাঠ মোমবাতির বর্ণিল আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে। মোমবাতির আলোয় ফুটে ওঠে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের প্রতিকৃতি,শহীদ মিনার, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, বিভিন্ন বর্ণমালা, আল্পনাসহ গ্রাম বাংলার নানা ঐহিত্যবাহী নকশা। দৃষ্টি নন্দন এসব নকশা ও আয়োজন নড়াইলবাসীসহ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত কয়েক হাজার দর্শনার্থী উপভোগ করেন।
উদ্ধোধনের আগে থেকেই শুরু হয় আলোচনা, গণসঙ্গীত, আবৃতি, কবিতা পাঠ ও দেশাত্মবোধক গান পরিবেশনা। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের শিল্পীদের আয়োজনে এ পরিবেশনা চলে অনুষ্ঠানের শেষ পর্যন্ত। আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি,আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, সহ বিভিন্ন গান পরিবেশনের মাধ্যমে আয়োজনকে আরো সমৃদ্ধ করে তোলেন ।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট নড়াইল শাখার সাধারণ সম্পাদক শরফুল আলম লিটু জানান, ভাষা শহীদদের স্মরণে নড়াইলে ব্যতিক্রমী এ আয়োজন ১৯৯৭ সালে শুরু হয় নড়াইলের সুলতান মঞ্চ চত্বরে । তখন মাত্র ৮ হাজার মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে ব্যতিক্রমধর্মী এ স্মরনানুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর তার পরিধি বেড়ে এখন প্রতিবছর ১লাখ মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শহীদদের স্মরণ করা হয়। এ আয়োজন সফল করতে সাংস্কৃতিক কর্মী, সেচ্ছাসেবক ও শ্রমিক কাজ করে থাকে। সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে পুলিশ প্রশাসন সার্বিক সহযোগিতা করে থাকে।
এফআর/অননিউজ