নড়াইলের দুটি আসনে ওয়ার্কার্স পাটির প্রার্থীদের নির্বাচন বর্জন

নড়াইল প্রতিনিধি।।

বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেয়া, টেবিলের ওপর প্রকাশে ভোটদানে ভোটারদের চাপ প্রয়োগ. জাল ভোট সহ বিভিন্ন অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে নড়াইল-১ ও নড়াইল-২ আসনের ওয়ার্কার্স পার্টিও সংসদ সদস্য প্রার্থীদ্বয় নির্বাচন বর্জন করলেন। রোববার (৭ জানুয়ারী) দুপুরে পৃথক সময়ে নড়াইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।

দুপুর পৌনে ২টার সময় নড়াইল প্রেসক্লাবে প্রথম এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দেন নড়াইল-২ আসনের ওয়ার্কাস পার্টিও প্রার্থী অ্যাডভোকেট শেখ হাফিজুর রহমান। এ সময় তার সাথে জাতীয় কৃষক সমিতি নড়াইল জেলা শাখার সভাপতি মোঃ নওরজ মোল্যা, জেলা যুব মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক পারভেজ অধলম বাচ্চুসহ দলীয় নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

বিকাল সোয়া তিনটার দিকে নড়াইল প্রেসক্লাবে এসে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন নড়াইল-১ আসনের ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম।

নড়াইল-২ আসনের প্রার্থী অ্যাডভোকেট শেখ হাফিজুর রহমান মৌখিক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, দুপুর ১২টা পর্যন্ত নড়াইল-০২ আসনের বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোট সুষ্ঠু হচ্ছিল। কিন্তু এর পর থেকে পরিস্থিতি পাল্টাতে থাকে। নৌকা প্রতীকের পক্ষের লোকজন পরাজয় নিশ্চিত জেনে লক্ষীপাশা আর.এন পাশা সরকারি প্রাঃ বিদ্যালয়, নড়াইল শীবশংকর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বেনাহাটি সরকারি প্রাথঃ বিদ্যালয়, ইতনা উচ্চ বিদ্যালয়, রাধানগর চারিখাদা সরকারি প্রাথঃ বিদ্যালয়, বোড়ামারা মাধ্যমিক ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তারাসি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তালবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুমড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তাদের এজেন্টকে বের করে দিয়ে নৌকার লোকজন ব্যালট পেপার নিয়ে জোরপূর্বক সিল মারা শুরু করে। এ ক্ষেত্রে প্রিজাইর্ডিং অফিসাররাও তেমন কোনো ভূমিকা পালন করেননি। আমি নিজে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুল হক চৌধুরী, পুলিশ সুপার পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান এবং ভ্রাম্যমান টিমকে জানালেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। নৌকার প্রার্থীর পরাজয় নিশ্চিত জেনে নৌকার সমর্থকরা জবরদস্তিমূলকভাবে ব্যালট বাক্সে সিল মারা শুরু করেছে। তিনি আরও বলেন এ সরকারের আমলে যে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় তা আবারও প্রমানিত হলো।

সংবাদ সম্মেলনে নড়াইল-১ আসনের প্রার্থী অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম একই ধরনের অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী বলেন, অ্যাডভোকেট শেখ হাফিজুর রহমানের অভিযোগ সত্য নয়। তিনি একটি কেন্দ্রের বিষয়ে আমার কাছে অভিযোগ করলে আমি সঙ্গে সঙ্গে ওই কেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেট পাঠালে ওয়ার্কার্স পার্টির এজেন্টকে ভোট কক্ষে দেখতে পান। ওই এজেন্টেরও কোনো অভিযোগ নেই। ওয়ার্কার্স পার্টি আসলে অধিকাংশ জায়গায় এজেন্টই দিতে পারেননি। সুষ্ঠু-শান্তিপূর্ণ ও চমৎকার পরিবেশে ভোট হচ্ছে বলে রিটানিং কর্মকর্তা জানান।

এফআর/অননিউজ

আরো দেখুনঃ