নীলফামারীতে ভিজিডি কার্ড বিতরণে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ
নীলফামারী প্রতিনিধি।।
নীলফামারীর ডোমারে গোমনাতি ইউনিয়নে ভিজিডি কার্ড এর বিপরীতে ২ ইউ,পি সদস্যের আর্থিক লেনদেন ও স্বচ্ছল ব্যক্তিদের তালিকায় অর্ন্তভূক্ত করার অভিযোগ পাওয়ায় এমন ৭টি ভিজিডি কার্ড স্থগিত করে প্রকৃত অস্বচ্ছল ব্যক্তিদের নামে বরাদ্দ দেয়ায় বিপাকে পড়েছে গোমনাতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল হামিদ। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ২ ইউপি সদস্যর প্ররোচনায় কার্ড স্থগিত হওয়া ৭ জন নারী ডোমার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
গোমনাতির ইউনিয়ন পরিষদের সূত্র মতে ২০২১-২২ ইং অর্থ বছরে ৩৮২টি ভিজিডি কার্ডের বরাদ্দ পায় ইউনিয়ন পরিষদ। রেশিও অনুযায়ী প্রত্যেকটি ইউপি সদস্য বরাদ্দ পায় ১৪টি কার্ড এর মধ্যে ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডে ভিজিডি কার্ডের বিপরীতে কার্ড প্রতি ৫/৬ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠে ইউপি সদস্য জাহিদুর ইসলাম ও মোঃ ফারুক হোসেন দুলাল এর বিরুদ্ধে। এমন কি পাঁকা ঘর ও স্বচ্ছল নারীদেরও অন্তরভূক্ত করা হয়েছে এ তালিকায়। ইউনিয়ন ভিজিডি কমিটি ২ দফা মিটিং এ অভিযুক্ত ২ ইউপি সদস্যকে একাধিকবার ডাকা হলেও তারা মিটিং এ অংশ গ্রহন করেননি, ফলে ভিজিডি কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৫নং ওয়ার্ডে নাজমা বেগম এর পরির্বতে ৩ নং ওয়ার্ডের পূর্ব আমবাড়ী চৌকিদারপাড়ার মোছাঃ ঝর্ণা বেগম, স্বামীঃ মোতাহার, কার্ড নং- ২১০, মরজিনা বেগম এর পরির্বতে রুপালি আক্তার, পিতা: আফাজ উদ্দিন, কার্ড নং- ২০৩, সুমনা আক্তার এর পরির্বতে লাকী, স্বামী: আশিকুর, কার্ড নং- ২০৯, ৬নং ওয়ার্ডের গোলাপি বেগম এর পরির্বতে আব্দুর রহিমের স্ত্রী গোলাপি বেগম, কার্ড- ২৩৫, বিলকিস বেগম এর পরির্বতে সুমাইয়া আক্তার স্বামী: সোনামুল ইসলাম, কার্ড নং- ২২৯, মারজানা বেগম এর পরিবর্তে ৮নং ওয়ার্ডের ডাক্তার পাড়া এলাকার লুৎফর রহমান এর স্ত্রী পমিলা আক্তার, কার্ড নং- ২৫৩ এছাড়া আর্থিক দিক স্বচ্ছল হওয়ায় বিউটি বেগম এর ভিজিডি কার্ড স্থগিত করে তার পরির্বতে সাইফুল ইসলামের স্ত্রী জহুরা খাতুন কার্ড নং- ২৩৪ দেওয়া হয়। তারা সকলেই অস্বচ্ছল ব্যক্তি।
এ বিষয়ে ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাহিদুল ইসলাম বলেন, কোন টাকা পয়সা নেই নাই, চেয়ারম্যানের ক্ষমতা আছে, তাই বাতিল করে ক্ষমতা দেখাইছে। ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ ফারুক হোসেন দুলাল জানান, চেয়ারম্যান আমার ৫টি কার্ড স্থগিত করল এ বিষয় আমি কিছু জানি না।
গোমনাতি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল হামিদ বলেন, সরকারী নীতিমালা মেনে ভিজিডির তালিকা আমরা প্রস্তুত করেছি। অভিযোগকারীদের মধ্যে স্বচ্ছল ব্যক্তি, একাধিক কার্ডের সুবিধা ভোগী ও ভিজিডি কার্ড পাওয়ার বিপরীতে ইউপি সদস্য ২জন ৫/৬ হাজার টাকা করে নিয়ে ভিজিডি কার্ড করে দেবার চেষ্টা করে এরকম অভিযোগের সত্যতা মেলায় ঐ ৭ জন নারীর কার্ড স্থগিত করে অস্বচ্ছল ব্যক্তিদের দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের ভিডিজি কমিটির সকল সদস্যই রেজুলেশনে স্বাক্ষর করেছে শুধু মাত্র আর্থিক লেনদেনে অভিযুক্ত ২ ইউপি সদস্য স্বাক্ষর করেননি।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নুরন নাহার শাহাজাদী বলেন, অভিযোগ পেয়েছি সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডোমার উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিনা শবনম বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে, তদন্ত রির্পোট পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তদন্ত কমিটি কাজ করছে, তারা প্রত্যেকের বাড়ীতে যাবে।
এলাকাবাসী জানিয়েছে সামনে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন প্রতিপক্ষকে হেনেস্থা করার জন্য সরকার বিরোধী একটি গোষ্ঠী বিভিন্ন অপকৌশল গ্রহন করছে।
সাইফ/অননিউজ24