নীলফামারীতে স্কুল ছাত্রী ইতি ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড
সুভাষ বিশ্বাস, নীলফামারী
স্কুল ছাত্রী ইতি আক্তার কে নিজ বাসায় ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে নীলফামারী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল -১ এর বিজ্ঞ বিচারক মোঃ মনসুর আলম সকাল ১১টা ৩৫ মিনিটে আসামি মাহমুদার কে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(২) ধারায় মৃত্যুদণ্ডের আদেশ ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করেন। আসামি পলাতক রয়েছে।
নীলফামারী জলঢাকা উপজেলায় ২০০৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বিকাল পাঁচটার সময় স্কুল ছাত্রী ইতি আক্তার এর নিজ বাসায় ( দুন্দি বাড়ি পশ্চিম পাড়ার) আফান উদ্দিন এর ছেলে মাহমুদার (২৪) ইতি আক্তার (১৪) কে ধর্ষণের পর ঘরের তীরের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে রেখে হত্যা করে ।
এ বিষয়ে ইতি আক্তারের পিতা মোঃ ইয়াকুব আলী ১/১০/০৯ইং তারিখ বাদী হয়ে জলঢাকা থানায় একটি মামলা করেন, মামলা নং নাঃশিঃ/দায়রা ৮৯/১০ জি আর-১০৪/০৯।
দীর্ঘ ১৩ বছর চলা এ মামলায় সাক্ষী প্রমান ও বিভিন্ন আলামতের ভিত্তিতে সন্দেহাতীত ভাবে একমাত্র আসামি মাহমুদার(২৪) দোষী প্রমাণিত হওয়ায় নীলফামারী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল -১ এর বিজ্ঞ বিচারক মোঃ মনসুর আলম (বুধ বার ২৬/১০/২০২২) সকাল ১১টা ৩৫ মিনিটে আসামি মাহমুদার কে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(২) ধারায় মৃত্যুদণ্ডের আদেশ প্রদান ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল ১ এর বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট রমেন্দ্র নাথ বাপ্পী জানান, দীর্ঘ বিলম্ব হলেও শেষ পর্যন্ত বাদী ন্যায় বিচার পেয়েছে, অতি দ্রুত এ রায় কার্যকর হবে বলে প্রত্যাশা করছি।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ সরকার জানান,আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব, আসামি উচ্চ আদালতের জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছে এ বিষয়ে শুনেছি। আসামি পক্ষের কেউ আমার সাথে যোগাযোগ করেনি, অন্য মামলার থেকে এই মামলাটি একটু ভিন্ন রকম ।