নীলফামারী খাদ্য গুদামে শ্রমিক সিন্ডিকেটের চাঁদা দাবি ভোগান্তিতে মিলাররা।

সুভাষ বিশ্বাস,নীলফামারী প্রতিনিধি ।।

সরকারী খাদ্য গুদামে লেবার সর্দার দের সিন্ডিকেট করে অর্থ দাবির কারণে সরকারিভাবে চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে,ভোগান্তিতে মিলাররা।
(৫০কেজি) বস্তা প্রতি ১০ টাকা চাঁদা না পাওয়ায় মিল মালিকদের চাউল ভর্তি ট্রাক সারা রাত খোলা আকাশের নিচে ফেলে রাখার অভিযোগ উঠেছে নীলফামারী সদর খাদ্য গুদামের লেবার সর্দারের বিরুদ্ধে।
গত ২৯ নভেম্বর থেকে সরকারী ভাবে ধান চাউল সংগ্রহ শুরু হলে ৩০ নভেম্বর নূহা অটো রাইস মিল চুক্তি অনুযায়ী সকাল ১০ টার সময় চাউল ভর্তি ট্রাক স্কেল সম্পূর্ণ করলেও লেবার সর্দার চাউল আনলোডের ক্ষেত্রে বস্তা(৫০কেজি) প্রতি ১০ টাকা চাঁদা দাবি করে। লেবার সর্দারদের অনৈতিক দাবি পূরণ করতে ব্যর্থ হলে চাউলের ট্রাক খালাস করা থেকে বিরত থাকে গুদামের শ্রমিকরা চাউল ভর্তি ট্রাক খোলা আকাশের নিচে ২৪ ঘন্টা ফেলে রাখায় লোকসান গুনতে হচ্ছে মিল মালিক দের।

নূহা অটো রাইস মিল এর স্বত্বাধিকারী রাকিব হাসান (মিশুক) অভিযোগ করে বলেন, লেবার সর্দার চাউল খালাসে অনৈতিকভাবে বস্তা প্রতি ১০ টাকা দাবি করে । তাদের এই দাবি পূরণ না করায় ২৪ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে আমার চালের ট্রাক খোলা আকাশের নিচে পড়ে রয়েছে। বর্তমান বাজার মূল্যের চেয়ে সরকার নির্ধারিত মূল্য দুই টাকা কম হওয়ায় সরকারি খাদ্য গুদামে চাউল দিতে এমনিতেই লোকসান গুনতে হচ্ছে মিল মালিকদের তার ওপর লেবার দের অতিরিক্ত চাঁদা দাবি মিল মালিক দের আর্থিক ক্ষতির মুখে ফেলেছে।
নাম প্রকাশ না করা সত্ত্বে আরেক মিল মালিক বলেন, ৩০ কেজির ছোট বস্তা আনলোড করতে লেবার সর্দার নেয় ৬ টাকা আর ৫০ কেজির বস্তার ক্ষেত্রে দিতে হতো ৯ টাকা এখন তারা বাড়িয়ে সেটা ১০ টাকা করেছে । অথচ সরকারী ভাবে লেবাররা বস্তা লোড -আনলোডের টাকা পায়। এই অরাজকতা চলতে থাকলে সরকারের চাল সংগ্রহ অভিযান লক্ষ্য পূরণ না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেবে ।

সরকারি খাদ্য গুদামের শ্রমিক নাজির ইসলাম বলেন সরকারী ভাবে আমরা বস্তা প্রতি ১ টাকা পাই।

সদর উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক তফিউজ্জামান জুয়েল জানতে চাইলে বলেন মিলারদের সাথে লেবার সর্দারদের অতিরিক্ত অর্থ দাবির কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি। মিলারদের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে লেবারদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ হারুন অর রশিদ জানিয়েছেন, শ্রমিকদের এই বিষয় টি নিয়ে এর ই মধ্যে জেলা প্রশাসকের সাথে কথা হয়েছে এছাড়া আমরা উদ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করেছি দেখি আজকে কি সিদ্ধান্ত নেয়া যায়

আরো দেখুনঃ