নীলফামারী নির্বাহী কর্মকর্তার অপসারণ চেয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট অভিযোগ
সুভাষ বিশ্বাস, নীলফামারী

অনিয়ম, অসৎ আচারণ, স্বেচ্ছাচারীতা, গ্রাম পুলিশ নিয়োগে দূর্নীতি। নীলফামারী সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানগণ ৮ দফা দাবীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার জেসমিন নাহার এর অপসারণ চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগে করেছে। তাদের স্বাক্ষরীত স্মারক লিপিতে বলা হয়েছে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের অবমূল্যায়ন, অশ্লীল ও তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য আচরণ, গ্রাম পুলিশ নিয়োগে অনিয়ম, বাস্তবায়নকৃত টি.আর কাবিখা প্রকল্পে ২০% উৎকোচ না পেলে হয়রানি, ভি.জি.ডি কার্ডের তালিকা তৈরীতে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী দিয়ে যাচাই বাচাই, আশ্রয়ণ প্রকল্পে নিম্ন মানের সামগ্রি ব্যবহার, প্রকৃত অস্বচ্ছল ব্যক্তিদের নামে বরাদ্দ না দিয়ে নিজের খেয়াল খুশি মত ঘর বরাদ্দ দেয়ার কারণে নীলফামারী সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা জেলা প্রশাসকের নিকট অভিযোগ দেন।
বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ ফোরাম নীলফামারী সদর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও ইটাখোলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হেদায়েত আলী শাহ্ ফকির জানান, আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অনিয়ম ও অসৎ আচারণের বিষয়ে জেলা প্রশাসককে অবগত করেছি।
বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ ফোরাম নীলফামারী সদর উপজেলা শাখার সভাপতি ও কচুকাটা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ চৌধুরী বলেন, জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষের কাছে আমাদের অভিযোগ জানানোর পর তিনি ৭ দিনের মধ্যে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার আশ্বাস দিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন নাহার এ বিষয়ে জানিয়েছেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো মিথ্যা, আমার উদ্ধর্ত্তন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তিনি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। এ বিষয়ে আমার কোন বক্তব্য নেই।
জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ বলেন, চেয়ারম্যানদের সাথে আমার বৈঠক হয়েছে, তাদের অভিযোগগুলো শুনেছি। আগামী ৭দিনের মধ্যে তদন্ত করে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হবে।