নড়াইলে গরু চুরির অভিযোগে শালিসী বৈঠকে ২লাখ টাকা জরিমানা!

নড়াইল প্রতিনিধি।।

নড়াইলে গরু চুরির অভিযোগে শালিসী বৈঠকের মাধ্যমে ৪ যুবককে ২লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। শুক্রবার (২১ জানুয়ারী) বিকালে লোহাগড়া উপজেলার নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের ৩৩নং হান্দলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অন্তত ৭ গ্রামের মানুষের উপস্থিতিতে এ শালিসী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

শালিসী বৈঠকে নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মুন্সী জোসেফ হোসেন, সাবেক চেয়ারম্যান ফয়জুল হক রোম, সাবেক চেয়ারম্যান নূরুজ্জামান নূরনবীসহ পাশ^বর্তী ওয়ার্ডের মেম্বর ও স্থানীয় মাতব্বরা উপস্থিত ছিলেন। শালিসের রায় ঘোষণা করেন সাবেক চেয়ারম্যান ফয়জুল হক রোম।

এদিকে পুলিশ প্রশাসন ও বিচার বিভাগকে উপেক্ষা করে এ ধরনের শালিসের কোন বৈধতা আছে কিনা তা নিয়ে রীতিমতো সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

খোঁজখবর নিয়ে জানাগেছে, হান্দলা গ্রামের মশিউর রহমান ওরফে মইশের একটি গরু চুরি হয় ৪/৫দিন আগে। এই গরু চুরির ঘটনায় হান্দলা গ্রামের খবির উদ্দিনের ছেলে পলাশ (২৪), খলিল ফকিরের ছেলে সাজ্জাদ (২১), হান্দলা খালপাড় এলাকার আশিক ও দেবী গ্রামের মশিয়ারকে অভিযুক্ত করা হয়।

অভিযুক্তদের উপস্থিতিতে শুক্রবার পূর্বনির্ধাতির শালিসী বৈঠক বসে। শালিসী বৈঠক শেষে খবিরের ্উদ্দিনের ছেলে পলাশকে ১লাখ টাকা জরিমানা, সাজ্জাদ ও আশিককে ৩৫হাজার টাকা করে এবং মশিয়ারকে ৩০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আগামী এব সপ্তাহের মধ্যে টাকা জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।

এ ব্যাপারে পলাশের পিতা খবির উদ্দিন মুঠোফোনে বলেন,‘ আমার ছেলে অন্যায় করলে অবশ্যই আমি বিচার চাই। তবে বিচারের ক্ষেত্রে অবশ্যই সামঞ্জস্যতা থাকা প্রয়োজন। আমার ছেলেকে ১লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অন্য তিনজনকে ১লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে মনে করি আমার ওপর অবিচার করা হয়েছে।’

শালিসে উপস্থিত নোয়াগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মুন্সী জোসেফ হোসেন জানান,‘ ,স্থানীয়ভাবে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে মিমাংশা করা হয়েছে। চোরেরা দোষী সাভ্যস্থ হয়েছে।তবে এ বিচারের রায় তারা আপীল করলে পূণ বিবেচনা করা হতে পারে।’

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু হেনা মিলন বলেন,‘ গরু চুরির বিষয়ে কেউ লিখিতভাবে জানায়নি। তবে স্থানীয়ভাবে শালিস মিমাংসার ক্ষেত্রে কেউ ক্ষতিগ্রস্থ হলে এবং এ ব্যাপারে কোন অভিযোগ দিলে ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

নড়াইল জজকোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট এমদাদুল ইসলাম বলেন,‘ এ ধরনের শালিস করে মোটা অংকের টাকার জরিমানা করার কোন বিধান নেই। চুরি হলে থানা পুলিশ রয়েছে। সেখানে আইনগত ভাবে প্রতিকারের ব্যবস্থা রয়েছে।’

আরো দেখুনঃ