পঞ্চগড়ে ৪ বিচারকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ ৭ ঘন্টা আদালত ঘেড়াও ও মহাসড়ক অবরোধ জেলা ও দায়রা জজ ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ ৪ বিচারক প্রত্যাহার
ডিজার হোসেন বাদশা, পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
নিয়োগ বাণিজ্য, ঘুষ, দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে পঞ্চগড় জেলা ও দায়রা জজ আদালত ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ৪ বিচারকের অপসারণের দাবিতে রবিবার দুপুর ২ টা থেকে আদালত ঘেড়াও ও মহাসড়ক অবরোধ শুরু করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। প্রায় ৭ ঘন্টা আন্দোলন চলার পর রাত ৮ টায় ওই চার বিচারককে প্রত্যাহার করে নেয়ার সিদ্ধান্ত হলে কর্মসূচি তুলে নেয় ছাত্ররা।
আন্দোলনকারীরা জানান, পঞ্চগড় আদালতের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ গোলাম ফারুক, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান মন্ডল ও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুজ্জামান ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু হেনা সিদ্দিকী আগস্টের পরেও আওয়ামীলীগ সরকারের দোসরের ভূমিকা পালন করে আসছেন। তারা ঘুষ, দুর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্য করে আসছেন। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করায় সমন্বয়কদের দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছেন তারা। তাদের অপসারণের দাবিতে ২২ জানুয়ারি বিক্ষোভ করে ছাত্র জনতা। ২৪ ঘন্টা সময় বেধে দেয়া হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাদের অপসারণ না করায় রবিবার দুপুর থেকে আদালত চত্বরে জড়ো হয়ে আদালত ঘেড়াও ও মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি শুরু করে তারা। শুরুতেই তারা আদালতের প্রত্যেক ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। এদিকে মহাসড়ক অবরোধ হওয়ায় সড়কের দুই পাশে শত শত যানবাহন আটকরা পড়ে। সন্ধ্যায় একটি ফটকের তালা আদালত চত্বরে প্রবেশ করে বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা। এক পযায়ে কয়েকটি গ্লাস ভাঙচুর করে তারা। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু ওই বিচারকের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত না হওয়ায় তারা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ চালিয়ে যায়। রাত ৮ টায় জেলা প্রশাসক সাবেত আলী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ৪ চার বিচারককে প্রত্যাহার করে নেয়া এবং তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত জানালে তারা আন্দোলন থেকে সরে যান। আদালত ঘেড়াও করায় আদালতে ৭ ঘন্টা অবরুদ্ধ থাকেন বিচারকসহ কর্মকর্তা কর্মচারীরা।