বগুড়া জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত ।

মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ ,বগুড়া প্রতিনিধি ।।

অবিলম্বে পদত্যাগ করে সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে তত্ত্ববধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে সরকারকে বিদায় নেওয়ার আহ্ববান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

একই সাথ নির্বাচন কমিশন বাতিল করে নতুন কমিশন গঠনেরও দাবী জানান তিনি। বুধবার স্থানীয় টিটু মিলনায়তনে বগুড়া জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, তারেক রহমান এবং জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারী করে ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবেনা। জনগণ জেগে উঠছে। ফ্যাসিবাদী সরকারকে বিদায় করতে তিনি শেষ লড়াইয়ে মাঠে নামার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্ববান জানান।
বগুড়া জেলা বিএনপির আহ্ববায়ক এড. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওবাইদুর রহমান চন্দন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামীলীগ বাকশাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জনগণের মৌলিক অধিকার হরণ করেছিল। এমন দূর্বিসহ অবস্থা থেকে জাতিকে মুক্ত করে গণতন্ত্রের পূণ:জন্ম দিতেই বিএনপির প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। আমাদের দূর্ভাগ্য; স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে আবারও গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করতে হচ্ছে। বাকশালের উত্তরসুরীরা আবারও দেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে। দেশর সম্পদ লুটপাট করে বিদেশে টাকা পাহাড় গড়ে তুলেছে। রিজার্ভ লুট করে কানাডায় বেগম পাড়ায় প্রাসাদ গড়েছে আওয়ামীলীগের নেতারা। আওয়ামীলী লুটেরাদের কবল থেকে দেশ ও জাতিকে মুক্ত করতেই তারেক রহমান আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। তিনি বলেন, আওয়ামীলীগের পায়ের নিচে মাটি নেই। বিএনপির সমাবেশগুলোতে মানুষের ঢল দেখে সরকার দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তারা মানুষের মৌলিক কেড়ে নিচ্ছে। সভা-সমাবেশে বাধা দিচ্ছে। হুমকি দিচ্ছে। সমাবেশের ২/৩দিন আগে থেকে পরিবহন বন্ধ করে সমাবেশ বানচালের চেষ্টা করছে। কিন্তু দেশের মানুষ সরকারের এসব বাধা উপেক্ষা করেই সমাবেশে ছুটে আসছে। ফ্যাসিবাদী সরকার এই মানুষগুলোকে রুখতে পারবেনা। জুলুমবাজ সরকারকে টেনে হেঁচড়ে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

কাউন্সিলে অন্যান্যের মাঝে সাবেক এমপি হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, এড. মাহবুবর রহমান, জি এম সিরাজ এমপি, মোশাররফ হোসেন এমপিসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। পরে জেলা বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদ পদে সরাসরি ভোট গ্রহণ করা হয়। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভোট গ্রহন চলছিল।
এর আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে কাউন্সিলের উদ্বোধন ঘোষনা করেন। কাউন্সিল উপলক্ষ্যে বগুড়ায় বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক প্রাণচাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

আরো দেখুনঃ