বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে ৪০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষের স্বপ্ন পূরণ করেন এমপি খোকা

নজরুল ইসলাম শুভ , সোনারগাঁ(নারায়ণগঞ্জ)।।

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসে দুই ইউনিয়নের ৪০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদীর উপর দিয়ে সনমান্দি ইউনিয়নের হরহরদি ও জামপুর ইউনিয়নের মুছারচর ব্রীজ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে তাদের এ স্বপ্ন পূরন হয়েছে।

ব্রীজ উদ্বোধন করেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকা। ফলে উৎসাহিত ওই অঞ্চলের মানুষ। এলাকার লোকজন দিনভর আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেছেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌহিদ এলাহীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের আহবায়ক অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূইয়া, মাহমুদা আক্তার ফেন্সি, সনমান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান জিন্নাহ, এফবিসিসিআই এর কার্যনির্বাহী সদস্য ও স্বর্ণা ইলেকট্রনিক এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলহাজ্ব আবুল হাসেম রতন, জামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ন কবির ভূইয়া, সোনারগাঁ উপজেলা প্রকৌশলী আরজুরুল হকসহ মহাজোটের নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

এলাকাবাসী জানায়, স্বাধীনতার পর থেকে ওই অঞ্চলের মানুষের দাবি ছিল এ ব্রীজটি নির্মাণের। জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসলেই জনপ্রতিনিধিরা আশ্বাস দিয়ে নির্বাচিত হয়ে আর খোঁজ রাখেননি। অবশেষে সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার হাত ধরেই সোনারগাঁয়ের দুই ইউনিয়নের ৪০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষের দীর্ঘ প্রতিক্ষিত স্বপ্নের হরিহরদি সেতু বাস্তবায়ন হয়েছে।

উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে এ ব্রীজটি চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। ব্রীজটি নির্মাণের ফলে সনমান্দি ইউনিয়নে হরহরদি, মামুদি, টেমদি, লেদামদি, ফতেপুর, দড়িকান্দি, গাংকুলকান্দি,কুমারচর,আটবাড়ি আলমদি, সনমান্দি, অলিপুরা ও জামপুর ইউনিয়নের মুছারচর, তিলাবো, বাছাবো, চরতালিমাবাদ, রাজাপুর, দড়িকান্দি, নানাবো, সেকেরহাট, মহজমপুর, কাজিপাড়া, তালতলা, কলতাপাড়া, বন্তলসহ প্রায় ৪০ গ্রামের মানুষ কৃষি অর্থনীতিতে উপকৃত হবেন। এছাড়াও এ ব্রীজের সুফল ভোগ করবেন বারদি ইউনিয়নের লোকজন। ফলে খুব সহযেই যাতায়ত করতে পারবেন।
৬ কোটি ৬৭ লক্ষ ৯৯ হাজার টাকায় ৯৯ মিটার দৈর্ঘ্যের এ ব্রীজটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর(এলজিইডি) আইআরআইডিপি-২ প্রকল্পের মাধ্যমে ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়। ব্রীজের নির্মাণ কাজের ২০১৮ সালের ৫ই মে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়। ওই সময় থেকেই এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়।

হরহরদি গ্রামের সাইফুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিনের প্রতিক্ষিত ব্রীজ এটি। ব্রীজ নির্মাণের ফলে এ অঞ্চলের অর্থনীতির পরিবর্তন আসবে। উৎপাদিত কৃষি পন্য সহযেই ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করা যাবে। স্থানীয় সাংসদের একান্ত প্রচেষ্টায় আজকের এ ব্রীজের বাস্তবায়ন।

মুছারচর গ্রামের মো. খোকন বলেন, ব্রীজের উদ্বোধনের সংবাদে এলাকায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। স্বাধীনতার পর থেকেই এ অঞ্চলের মানুষের দাবি ছিল এ ব্রীজ নির্মাণের। স্থানীয় সংসদ বাঁশের সাকোঁ থেকে পড়ে যাওয়ার কারনে এ অঞ্চলের মানুষের কপালে মনে হয় ব্রীজ হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকা বলেন, ব্রীজ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হতে চলছে।এতে করে প্রায় ৪০ গ্রামের মানুষ উপকৃত হবেন। পাশাপাশি অর্থনীতির চাকা গতিশীল হবে।

আরো দেখুনঃ