বালুবাহী জাহাজের ধাক্কায় ঝুঁকিরমুখে দুটি সেতু পরিদর্শনে আসেন উপজেলা পরিষদের একটি টিম
মাছিমপুর গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে তিতাস নদী। এর দুই পাশে দুটি ব্রিজ ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। একটি ব্রিজ সংযোগ করেছে হোমনা উপজেলার জয়পুরকে আর অপরটি মাছিমপুর – কলাকান্দি -মনাইকান্দি -কদমতলীসহ আরও অনেক গ্রাম।
সেতু দুটির উপর দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ও যানবাহন চলাচল করে ।
কিন্তু বিষয় সেটি নয়। প্রতিদিন সেতু দুটির নিচ নিয়ে কয়েকশ বালুবাহী ট্রলার, জাহাজ, নৌকা যাতায়াত করে। সেটাও সমস্যা না! কিন্তু এসব বালুবাহী জাহাজ ,নৌকা চলাচলের কারণে সেতু দুটির উপর পড়ছে প্রেসার। আসা যাওয়ার পথে দ্রিমদ্রাম ধাক্কা লেগে সেতু দুটি ভেঙ্গে পড়ার অবস্থা। আসতে একবার ধাক্কা, যাবার সময় আরেকবার ধাক্কা! ফলে ক্ষতি হচ্ছে সেতু দুটির। এভাবে চলতে থাকলে সেতু দুটি অচিরেই ভেঙ্গে পড়বে। ইতোমধ্যে সেতুর অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। শোনা যাচ্ছে এসব বালুবাহী জাহাজ থেকে কতিপয় লোকজন চাঁদা পান! তারা কারা? তাদের স্বার্থের কারণে কি জাতীয় সম্পদ নষ্ট হবে? সেতু দুটি ভেঙ্গে পড়লে বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হবে আপমর জনসাধারণ।
তারই প্রেক্ষিতে আজ ২৭ আগস্ট শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটায় তিতাস উপজেলার একটি টিম পরিদর্শনে আসেন। সেতুর যাতে ক্ষতি না হয় তারা সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান। পরিদর্শক টিমে ছিলেন তিতাস উপজেলাপরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ পারভেজ হোসেন সরকার, তিতাস উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাম্মৎ রাশেদা আক্তার , ইঞ্জিনিয়ার জাহিদুর রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফরিদা ইয়াসমিন, বলরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নুর নবী, কলাকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুল্লাহ বাহার, মাছিমপুর বাজার কমিটির সভাপতি আঃ বাতেন সরকার রেনু মিয়া ভান্ডারী, কবির আহমেদ মাষ্টার, উত্তর জেলা ছাত্রলীগ নেতা মু হেলাল উদ্দিন, মিজান সরকার, কবির হোসেন প্রমূখ।
জেনিফার____২৭ আগস্ট ২১