বিদেশে পালানোর সময় উপজেলা চেয়ারম্যান ভাই ঢাকা গ্রেফতার

কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর বাজারে যুবলীগ নেতা জামাল হোসেনকে গুলি করে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে মো.মাসুদ রানা (৩২) নামের এক যুবককে।

বুধবার রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশের সহায়তায় কুমিল্লা ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে কুমিল্লায় নিয়ে আসে। মাসুদ কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদের ছোট ভাই। পেশায় ব্যবসায়ী মাসুদ রানা দেবিদ্বার উপজেলার বরকামতা ইউনিয়নের নবীয়াবাদ গ্রামের ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামের পুত্র। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় মাসুদ রানাকে জামাল হোসেন হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) বিভাগের ওসি রাজেস বড়ুয়া। তিনি আরও বলেন, জামাল হত্যা মামলায় এরই মধ্যে গ্রেফতার হওয়া আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেফতার মাসুদের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। সে বিদেশে পালিয়ে যাচ্ছিল এমন তথ্যের ভিত্তিতে ইমিগ্রেশন পুলিশের সহায়তা চাওয়া হয় এবং তাকে বিমান বন্দর থেকে আটক করে কুমিল্লায় নিয়ে আসা হয়। তিনি আরও বলেন, আগে গ্রেফতার হওয়া আসামিদের নিকট থেকে প্রাপ্ত তথ্য আমরা যাচাই-বাছাই করতে আজ গ্রেফতার মাসুদকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমাণ্ড আবেদন করবো।

ওসি বলেন, এ নিয়ে জামাল হত্যা মামলায় ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন, র‌্যাবের অভিযানে গ্রেফতার মামলার এজাহার নামীয় আসামি তিতাস উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনুল ইসলাম ওরফে সোহেল শিকদার, মো. ইসমাইল, শাহ আলম ওরফে পা কাটা আলম, এজাহার বহির্ভূত দেলোয়ার হোসেন ওরফে দেলু (বোরকা পরা শুটার)ও সাহিদুল ইসলাম ওরফে সাদ্দাম মাস্টার। এছাড়া পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে- এজাহার বহির্ভূত মো. সুমন হোসেন, মো. রবি, মো. শাহপরান ও মাজহারুল ইসলাম সৈকত এবং সর্বশেষ বুধবার রাতে মাসুদ রানা।

গত ৩০ এপ্রিল রাত সোয়া আটটার দিকে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর পশ্চিম বাজারে তিতাস উপজেলার জিয়ারকান্দি গ্রামের বাসিন্দা জামাল হোসেনকে গুলি করে হত্যা করে বোরকা পরা তিন দুর্বৃত্ত। এ ঘটনায় ২ মে রাত সাড়ে ১১টায় দাউদকান্দি থানায় ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা সাত থেকে আটজনের নামে নিহতের স্ত্রী পপি আক্তার মামলা দায়ের করেন। গত ৮ মে থেকে মামলাটি তদন্ত করছেন জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) বিভাগ।

ফরহাদ/অননিউজ

আরো দেখুনঃ