ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশের গুলিতে ছাত্রদল নেতা নিহতের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে কুমিল্লার বিভাগীয় সম্মেলন সফলে লিফলেট বিতরণকালে পুলিশের গুলিতে ছাত্রদল নেতা নয়ন মিয়া নিহতের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। আজ রবিবার সকালে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে জেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে শহরের শিমরাইল কান্দি থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহেরর টি.এ রোড প্রধান সড়কে আসলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। পরে নেতাকর্মীরা সড়কেই বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এ সময় জেলা ছাত্রদলের আহŸায়ক ফুজায়েল চৌধুরীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপিত হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ প্রমূখ। এ সময় বক্তারা বলেন, সরকার হত্যা, গুম, খুন করে মানুষকে দাবিয়ে রাখার ব্যর্থ চেষ্টা করছে। এ সরকারকে টিকিয়ে রাখতে যারা অন্যায়ভাবে গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করছে তাদের এই সরকার বিচার না করলে বিএনপি সরকার গঠন করলে তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে। এছাড়াও বক্তারা বলেন, বাঞ্ছারামপুরে শান্তিপূর্ণভাবে লিফলেট বিতরণকালে পুলিশ নির্মমভাবে গুলি করে ছাত্রদলের সোনারামপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহসভাপতি নয়নকে হত্যা করে। তারা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অতি উৎসাহী পুলিশ কর্মকর্তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার ও বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান। বক্তারা আরো বলেন, মানুষ হত্যা করে আর গাড়ি বন্ধ রেখে বিএনপির কুমিল্লার বিভাগীয় সমাবেশ ঠেকানো যাবে না।

এদিকে নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.সিরাজুল ইসলাম জানান, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের হামলায় পুলিশের ৬ সদস্য আহত ঘটনায় বাঞ্ছারামপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আফজাল হোসেন খান বাদী হয়ে বিএনপি ১৭ জন নেতা- কর্মীকে এজহারনামীয় আসামী করে অজ্ঞাত ১ থেকে দেড়শ জনকে আসামী করে মামলা করেছেন। এখন পর্যন্ত ২ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত উপজেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও চরশিবপুর গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলামকে মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে।

এদিকে দলের নেতৃবৃন্দ জানান, ছাত্রদল নেতা নয়ন মিয়া মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে প্রথম দফা যানাজা এবং তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাঞ্ছারামপুর উপজেলার শিবপুর গ্রামে বিকেলে ২দফা যানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানের দাফন সম্পন্ন হবে । এছাড়াও নিহত নয়নের মৃত্যুর ঘটনায় দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। বিভিন্ন স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, কুমিল্লা বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার লক্ষে শনিবার বাঞ্ছারামপুররে লিফলেট বিতরণ কালে সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে সোনারামপুর ইউনিয়নের ছাত্রদলের সহ-সভাপতি নয়ন মিয়া গুলিবিদ্ধ হন। পরে ঢাকা মেডিকেলে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ইমান আলী নামে পৌর যুবদলের আহ্বায়ক আহত হয়।

আরো দেখুনঃ