ভোট বাতিলের ক্ষমতা চাচ্ছে নির্বাচন কমিশন

অনলাইন ডেস্ক।।

‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ’-আরপিও সংশোধনের বিষয়টি সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করবে বলে মনে করছেন রাজনীতিবিদরা। আইনটি পাস হলে নির্বাচন কমিশন আরও শক্তিশালী হবে এবং নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন বিশ্লেশকরা।

মঙ্গলবার মন্ত্রী সভা বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-আরপিও সংশোধনের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট হওয়ার পর সেই ভোট বাতিলের ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের নেই। তবে আরপিওতে সেই ক্ষমতার প্রস্তাব করা হয়েছে।

আইনটি পাস হলে নির্বাচনের জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হবে। নির্বাচন কমিশন আরও শক্তিশালী হবে এবং অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন, “১৪টি প্রস্তাব তারা যে করেছে এটা সামগ্রিক অর্থে ইতিবাচকভাবেই আমরা দেখছি। সবগুলো দফা নিয়ে বিশ্লেষণ করা হবে বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে এবং জনগণের মতামত নেওয়া হবে। নির্বাচনে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে অবশ্যই আমরা নির্বাচন কমিশন যে ক্ষমতা চেয়েছে এগুলো আসলে কতটুকু যুক্তিযুক্ত, কতটুকু প্রয়োজন সে মতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।”

আইনটি পাস হলে নির্বাচন কমিশন সার্বভৌম স্বাধীন সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবে। সবার কাছে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে পারবে বলে জানান রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

ইউএনবি সম্পাদক ফরিদ হোসেন বলেন, “রাজনৈতিক সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন সবার গ্রহণযোগ্য ও অবাদ একটা নির্বাচন করতে পারে সেই ধারার মধ্যে নিয়ে যেতে হবে।”

আরপিওতে ১৪টি ধারা সংশোধনীর প্রস্তাব করা হয়েছে। আর এটা পাস হলে তা একটা যুগান্তকারী আইন হবে বলেও মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

ফরহাদ/অননিউজ

আরো দেখুনঃ