মনোহরগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাচ্ছেন ১২১ পরিবার
কুমিল্লা প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে ঘর পাচ্ছেন ১২১ পরিবার। ইতোমধ্যে ৭৩টি পরিবারকে জমিসহ নতুন ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। আরো ৪৮টি ঘরের নির্মান কাজ চলছে, সহসাই শেষ করে এসব ঘর হস্তান্তর করা হবে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) নাজিয়া হোসেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় মনোহরগঞ্জ উপজেলায় যাদের জমি নেই, ঘরও নেই, এমন ১২১টি পরিবার সরকারি অর্থায়নে নির্মিত প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাচ্ছেন। এর মধ্যে ইতোপূর্বে ১ম ও ২য় পর্যায়ে ৭৩টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। উপকারভোগীরা সেখানে সপরিবারে বসবাস করছেন। বর্তমানে ৩য় পর্যায়ে আরো ৪৮টি ঘর নির্মাণের কাজ চলছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ওয়াসিমের তত্ত্বাবধানে গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণের পাশাপাশি উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ৯ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার জন্য সরকারি অর্থায়নে ‘বীর নিবাস’ নির্মাণেরও কাজ চলছে। কাজ শেষে আনুষ্ঠানিক ভাবে জমির কাগজপত্রসহ এসব ঘর হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে মনোহরগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে ক শ্রেণির ভূমি ও গৃহহীনদের জন্য নির্মাণাধীন ঘর পরিদর্শন করেছেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবেদ আলী। মঙ্গলবার উপজেলার উত্তর হাওলা ইউনিয়নের বরল্লা গ্রাম ও সরসপুর ইউনিয়নের ভাউপুর গ্রামে নির্মাণাধীন এসব ঘর পরিদর্শন করেন তিনি। এসময় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ওয়াসিম, উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ, সরসপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
কুমিল্লা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবেদ আলী বলেন, সকলের সহযোগিতা নিয়ে জনসাধারণের জন্য সরকারের বরাদ্দকৃত সকল সুবিধা উপকারভোগীদেরকে যথাযথ ভাবে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। সরকারের কোনো প্রকল্প নিয়ে সংশ্লিষ্ট কেউ বিন্দুমাত্র অনিয়ম করলেও তাকে ছাড় দেয়া হবে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) নাজিয়া হোসেন বলেন, ‘বিভিন্ন ধাপে কাজ শুরু হয়েছে। তাই পর্যায়ক্রমে ঘর নির্মানকাজ সমাপ্ত করে হস্তান্তর করা হচ্ছে। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের ৭৩টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। এখন আরো ৪৮টি ঘর নির্মান কাজ চলছে। মার্চ মাসে আরো কিছু ঘর হস্তান্তর করা হবে। কাজের মান ঠিক রাখতে উপজেলা প্রকৌশলী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া আমার উপজেলা থেকে উপজেলা প্রকৌশলীসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের দিয়ে কাজ তদারকি করা হচ্ছে। কাজের মান নিয়ে কোন আপোস করা হবেনা।’