মাঘের হঠাৎ বৃষ্টিতে হিলিতে বেড়েছে সবধরনের সবজির দাম বিপাকে নিন্ম আয়ের মানুষ

হিলি প্রতিনিধি।।

মাঘের হঠাৎ বৃষ্টিতে দিনাজপুরের হিলিতে কয়েকদিনের ব্যবধানের সবধরনের শীতকালীন সবজির দাম বেড়েছে। এতে করে বিপাকে পড়েছেন নিন্ম আয়ের খেটে খাওয়া মানুষজন। দাম কমানোর দাবী তাদের সরবরাহ বাড়লে দাম কমে আসবে দাবী ব্যবসায়ীদের।

বুধবার সরেজমিন হিলির কাচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারের সব সবজির দোকানেই কমবেশী শীতকালীন বিভিন্ন সবজির সরবরাহ রয়েছে তারপরেও দাম বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। ফুলকপি আগে ২০টাকা পিস বিক্রি হলেও এখন তা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৫টাকা পিস হিসেবে। বাধাকপি আগে ২০টাকা পিস বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ২৫টাকা পিস হিসেবে। শিম আগে ৩০টাকা থেকে বেড়ে ৪০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।বেগুন ২০টাকা কেজি থেকে বেড়ে ৪০টাকা, করলা ৫০ টাকা কেজি থেকে বেড়ে ৮০টাকা কেজি, গাজর ১৫ টাকা কেজি থেকে বেড়ে ২০টাকা কেজি, মটরশুটি ৩০ টাকা কেজি থেকে বেড়ে ৪০টাকা কেজি, পেপে ১০টাকা কেজি থেকে বেড়ে ২০টাকা, মিষ্টি লাউ ৩০ টাকা কেজি থেকে বেড়ে ৪০টাকা কেজি, টমেটো ২০টাকা কেজি থেকে বেড়ে ৩০টাকা কেজি, ধনিয়াপাতা ৩০টাকা থেকে কমে ২০টাকা, আলু ১০টাকা থেকে বেড়ে ১২টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।কাচামরিচ ২৫টাকা থেকে বেড়ে ৪০টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

হিলি বাজারে সবজি কিনতে আসা ভ্যান চালক ইয়াসিন আলী বলেন, একেতো শীতের কারনে বাজারে মানুষজন নেই যার কারনে আমাদের আয় রোজগার তেমন একটা নেই। এর উপর বাজারে সবধরনের সবজির দাম বেড়েছে কোনটার দাম দ্বিগুন হয়ে গেছে। এর ফলে আমাদেরতো সমস্যা হয়ে গিয়েছে। আমাদের তো আয় বাড়েনি যে দাম বাড়লেও কিনে খেতে পারবো তাই আগে যেখানে এককেজি কিনতাম এখন সেখানে হাফ কেজি কিনে কোনরকমে সংসার চালাতে হচ্ছে। তবে সবজির দাম যদি আগের মতো অবস্থায় আসে তাহলে আমাদের মতো মানুষদের জন্য ভালো হয়।

হিলি বাজারে সবজি কিনতে আসা শেফালি বেগম বলেন, বৃষ্টির পর বাজারে সব তরি তরকারির দামে আগুন লাগার মতো অবস্থা দাড়িয়েছে। আমরা গরীব মানুষ যে একটু ভর্তা ভাত খেয়ে চলবো সেই অবস্থা নেই। যে বেগুন আগে ২০টাকা তা বেড়ে ৪০টাকা, করলা ৫০ টাকা বেড়ে ৮০টাকা, কাচামরিচ ২০ টাকা থেকে বেড়ে ৪০টাকা হয়েছে প্রায় সব তরিতরকারীর দাম বেড়ে গেছে কয়েকদিনের ব্যবধানে। এমনভাবে যদি তরিতরকারির দাম বাড়ে তাহলে আমরা সাধারন মানুষ কিভাবে ক্রয় করবো আর কিভাবে খাবো আমরাতো কিনতে পারছিনা দাম বেশী হওয়ার কারনে।

হিলি বাজারের সবজি বিক্রেতা বিপ্লব শেখ বলেন, সাধারনত এই সময়ে বৃষ্টিপাত হয়না কিন্তু এবারেই ব্যাতিক্রম যে মাঘ মাসে হঠাৎ বৃষ্টি হয়েছে। সে বৃষ্টির পরিমান কম ছিলোনা ভালো পরিমান বৃষ্টি হয়েছে। যার কারনে আমাদের আশেপাশের বিরামপুর, পাচবিবিসহ যেসব অঞ্চলে শীতকালীন সবজির আবাদ হয়ে থাকে। সেসব অঞ্চলে এই বৃষ্টিপাতের কারনে সবজির ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বাজারে সবজির সরবরাহ কমে গেছে। মুলত এর কারনেই বাজারে সবজির দাম খানিকটা চড়া।যার কারনে আমাদেরকে বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে তেমনি বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে নতুন করে সবজির উৎপাদন শুরু হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসলে বাজারে সবজির সরবরাহ বাড়লে দাম কমে আসবে বলেও জানান তিনি।

আরো দেখুনঃ