মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর চেষ্টায় ধানের জমিতে বিষ
সুলতান মাহমুদ,জয়পুরহাট।।
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার কাড়শা গোবিন্দপুর গ্রামে জমিজমা বিষয় সংক্রান্তর জেরে মৃত জিয়ার উদ্দিন ফকিরের ছেলে কৃষক আব্দুল হান্নানের পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা ও এক বিঘা ধানের জমিতে বিষ দিয়ে নষ্ট, এর আগে ওই জমির সরিষা মারার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের প্রভাবশালী আবুল হোসেনের ছেলে রফিকুলের বিরুদ্ধে।
বুধবার রাতে (৩০ শে মার্চ) ওই জমিতে বিষ দিয়েছে বলে জানা গেছ।
ঘটনার বিবরণে এলাকা সুত্রে জানাযায়, কৃষক হান্নানের মৃত পিতার নিজনামীয় কাড়শা মৌজার C/s খং নং-২৪,M.r.r খং নং-৩১,R/s খং নং- ১৬৯ খারিজ খং নং- ৫৪২। সাবেক/হাল ৪০৪/৭২৭ ধানী ১৫ শতক ও তার নামে ১৫ শতক ১৯৬৪ সালে ক্রয় করেন ওই গ্রামের মৃত কায়ের পরামানিকের ছেলে মৃত মাঙ্গনের কাছথেকে, এখন প্ররজন্ত ক্ষয় সুত্রে চাষাবাদ করে আসতেছে।
২০২১ সালে ওই জোদ্দার মৃত মাঙ্গনের উত্তরাধীকারীদের কাছথেকে “রফিকুল” রেকর্ডমূলে ক্রয় করে বিভিন্ন ফসল মারাসহ জমি দখলের চেষ্টা করে আসতিছে। চলতি বছর ফেব্রুয়ারীর ১৭ তারিখ রবিবার রাতে রফিকুল সঙ্গবদ্ধ ভাবে ধানের জমিতে মইদিতে গিয়ে জনতার হাতে একই গ্রামের মৃত মবারকের ছেলে রাজ্জাক ধরা পড়ে, রফিকুল ও তার সহযোগিরা পালিয়ে যায়। পরে গ্রামের লোকজন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জিহাদ মন্ডলে পরামর্শে গণশাক্ষরে মাধ্যমে তার পরিবারের নিকট অক্ষত অবস্থায় হস্তান্তর করেন, উক্ত ঘটনার আক্রোশে ফেব্রুয়ারীর ২৪ তারিখ বৃহস্পতিবার রফিকুল যোগসাজশে, ওই রাজ্জাক ও তার বড় ভাইকে ভিকটিম করে জয়পুরহাট জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে ১৪৩/৪৪৮/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৫০৬/(২)/১০৯ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন হান্নান ফকিরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে।
উক্ত জমির পরে ক্রয়কৃত মালিক রফিকুল বলেন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখে শুনে আমি জমি ক্রয় করেছি, জমিটি আমার, আমার কয়েকজন শ্রমিক ওই ফসলি জমিটিতে সার ও ঔষধ দিতে গিয়েছিল, হান্নান ফকির দলবল নিয়ে এসে আমার শ্রমিকদের মারধর করে। আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি আর জমিতে বিষ দেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবেদ আলী তালুকদার বলেন, ইতিপূর্বে রফিকুল ওই জমির ফসল নষ্ট করেছে সেটা পুরো গ্রামবাসীরা জানে, এখন ধানের জমিতে কে বা কাহারা বিষ প্রয়োগ করেছে এ বিষয়ে কিছু জানিনা, তবে এ ন্যাক্কারজনক ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদের শাস্তি হোক এটাই চাই।
কুসুম্বা ইউপি চেয়ারম্যান জিহাদ মন্ডল বলেন, জনতার হাতে আব্দুর রাজ্জাক আটকের বিষয়টি আমি জানি এবং আমার জানা মতে আব্দুর রাজ্জাককে তার পরিবারের নিকট অক্ষত অবস্থায় হস্তান্তর করেছে গ্রামবাসীরা,পরবর্তীতে হান্নানের পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা- বিষয়টি আমার জানা নেই।
পাঁচবিবি থানার অফিসার ইনচার্জ পলাশ চন্দ্র দেব বলেন, জমিতে বিষ প্রয়োগের বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।