মেঘনায় ঘেরের ভেতরে থাকা মাছ উন্মুক্ত করেন পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা
নজরুল ইসলাম শুভ, সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ)।।
ব্রহ্মপুত্র নদ, মেঘনা নদী ও এর দুই শাখা নদীতে বাশের ঘের দিয়ে গড়ে তোলা ২৩৫টি ঘেরের মধ্যে মাত্র পাচঁটি ঘের গতকাল সোমবার উচ্ছেদ করেছে নৌ পুলিশ।
দুপুরে নৌ পুলিশের নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) মিনা মাহমুদার নেতৃত্বে গতকাল নৌ পুলিশের সদস্যরা মেঘনা নদীর বারদি ইউনিয়নের নুনেরটেক এলাকায় উপস্থিত হয়ে পাঁচটি ঘেরের বাশঁ উঠিয়ে জাল কেটে দিয়ে ঘেরের ভেতরে থাকা মাছ নদীর উন্মুক্ত স্থানে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়।
এদিকে উচ্ছেদ অভিযান চলাকালীন সময়ে নদীর তীরবর্তী দামোদরদী, নুনেরটেক, সাতভাইয়াপাড়া ও হাড়িয়া এলাকার বাসিন্দারা নৌ পুলিশ ও মৎস্য অফিসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ কারীরা জানান, আমাদের ঘের উচ্ছেদ করা হোক তাতে কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু নৌ পুলিশ ও মৎস্য অফিসের নামে যেসব দালালরা ঘের মালিকদের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ওই টাকা ফেরত দিতে হবে। আমাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া টাকা ইতিমধ্যে ফেরত না দিলে আমরা আমরন অনশনে যাব।
মৎস্য কর্মকর্তা ও নৌ পুলিশের নামে ইতিমধ্যে উত্তোলন করা কয়েক কোটি টাকা ফেরতের দাবিতে স্থানীয়দের বিক্ষোভের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা জৈষ্ঠ্য মৎস্য কর্মকর্তা জেসমীন আক্তার জানান, আমি সরাসরি কারো কাছ থেকে কোনো টাকা গ্রহন করিনি। দালালরা আমাদের নামে টাকা নিয়েছেন বলে জানতে পেরেছি। আমি কারো কাছ থেকে টাকা নিয়েছি প্রমান করতে পারলে যে কোনো শাস্থি মাথা পেতে নেব। নৌ পুলিশের চাদাঁবাজী সর্ম্পকে গনমাধ্যম কর্মীরা নৌ পুলিশের নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) মিনা মাহমুদার দৃষ্টি আকর্ষন করলে তিনি জানান, নৌ পুলিশ সদস্যরা যারা চাদাঁবাজীর সঙ্গে জড়িত তদন্ত করে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে শাস্থিমুলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উচ্ছেদ অভিযানের সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নৌ পুলিশের নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ওসি মনিরুজ্জামান ও আড়াইহাজারের খাগকান্দার নৌ পুলিশের সদস্যরা।
স্থানীয় বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের বাসিন্দা আলী আকবর জানান, মেঘনা ও এর দুই শাখা নদী ও ব্রহ্মপুত্র নদে ২৩৫টি ঘেরের মধ্যে মাত্র পাচঁটি ঘেরে লোক দেখানো অভিযান করা হয়েছে। মৎস্য অফিস ও নৌ পুলিশের যোগসাজসে এ এলাকার নদ নদীর মৎস্য সম্পদ ধংস করা হচ্ছে।
আহসানুজ্জামান সোহেল/অননিউজ24।।