মেঘনা নদীতে ডাকাতরা ১২জনকে কুপিয়ে ৩০ লাখ টাকার মালপত্র লুট
নজরুল ইসলাম শুভ, সোনারগাঁ ( নারায়ণগঞ্জ)।।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের ওপর দিয়ে প্রভাহিত মেঘনা নদীতে বর যাত্রীবাহি ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ডাকাতরা ট্রলারের সবাইকে পিটিয়ে কুপিয়ে তাদের সাথে থাকা নগদ টাকা, মোবাইল ও স্বর্ণলাংকাসহ ৩০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
সোমবার ( ২৭ জুন) সন্ধ্যায় মেঘনা শিল্প নগরীর ফ্রেশ সুগার মিলের সামনে মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।এসময় ডাকাতরা ১২জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের চরগোয়ালদী গ্রামের মোতালেবের ছেলে মালেশিয়া প্রবাসী নুরে আলম গত শুক্রবার মেঘনা উপজেলার সাতআনি গ্রামের আবুল কাসেমের মেয়ে শারমিনকে বিয়ে করে। সোমবার ৩০-৩৫ জন বরের আত্মীয় স্বজন ছেলের শশুর বাড়ি আড়াইউল্লাহ দাওয়াত খেয়ে সন্ধ্যার দিকে ফিরে আসার পথে মেঘনা নদীর প্রতাপের চর এলাকার ফ্রেশ সুগার মিলের সামনে আসা মাত্র ১০-১৫ জনের একটি ডাকাতদল আগ্নোয়াস্ত্র, চাপাতি ও লোহার রড নিয়ে তাদের বহনকারী ট্রলারে হানা দেয়। এ সময় ডাকাতরা ট্রলারে থাকা লোকজনকে এলোপাথারিভাবে মারপিট করতে থাকে। এক পর্যায়ে তাদের কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। ডাকাতের হামলায় ট্রলারে থাকা নুরে আলম, আব্দুল বাতেন, জুবায়ের, হাফেজ আহম্মদ, আবু ছালে, শাহ পরান, সেলিম, বিল্লাল, নাসরিন, নুরজাহান, খোদেজাসহ ১২জন আহত হয়। এসময় ডাকাতরা তাদের ৭ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ১লাখ টাকা, মোবাইলসেটসহ প্রায় ৩০ লাখ টাকার মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে আহতদের উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
আহত জুবায়ের জানান, মেঘনা উপজেলার সাতআনি গ্রাম থেকে দাওয়াত খেয়ে নব দম্পত্তি নিয়ে ফেরার পথে ফ্রেশের চিনি ফ্যাক্টুরির বরাবর নদীর মাঝখানে ডাকাতরা ট্রালারযোগে এসে আমাদের ট্রলারে হানা দেয়। সকলেই মুখোশধারী ছিল। আমাদের এলোপাথারিভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে ৭ ভরি স্বর্ণসহ প্রায় ৩০ লাখ টাকার মালপত্র লুট করে নিয়ে যায়।
সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, নদীতে ডাকাতির খবর শুনেছি। এখনও কেউ অভিযোগ দায়ের করেননি। তবে নদীর বিষয়টি নৌ পুলিশ দেখবাল করেন।
নারায়ণগঞ্জ নৌ পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা বলেন, ঘটনার খরর পেয়ে সংশ্লিষ্ট নৌ ফাঁড়ির পুলিশকে বিষয়টি দেখার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।