যথাসময়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের তাগিদ প্রধানমন্ত্রীর
অনলাইন ডেস্ক।।
প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রিতা এড়িয়ে ব্যয়, ঋণ ও সুদের অর্থ পরিশোধের সক্ষমতা বিবেচনায় নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চ্যালেঞ্জ হিসেবে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জনের শর্ত পূরণে সুবিধাসমূহ সুনির্দিষ্ট করারও তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
পঞ্চম মেয়াদের সরকার গঠনের পর রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনইসি সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের প্রথম সভায় যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টরা অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রীকে।
বক্তব্যে যথাসময়ে অনুমোদিত প্রকল্প বাস্তবায়নের তাগিদ দেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, ‘আমরা যে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি, যার কার্যক্রম চলছে এগুলোর মধ্যে বেছে নিতে হবে কোনগুলো সামান্য কিছু টাকা দিলে শেষ হয়ে যাবে। আমি মনে করি, প্রজেক্টগুলো যতো দ্রুত শেষ করায় ততো ভালো। কারণ একটা প্রজেক্ট শেষ হলে তা থেকে রিটার্ন আসে, লাভবান হওয়া যায়। নতুন প্রজেক্ট নিতে পারি, তাতে যেনো দীর্ঘসূত্রিতা না হয়।”
লাভ লোকসান ও ব্যয় পরিশোধের সক্ষমতা বিবেচনায় রেখে প্রকল্প হাতে নেবার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। সরকার প্রধান বলেন, ‘প্রত্যেকটা প্রস্তাবে এটা মাথায় রাখতে হবে যে সেখানে কতো টাকা ব্যয় হবে, কি পরিমাণ ঋণ নিচ্ছি, কতোটা পরিশোধ করতে হবে, কতোদিনের মধ্যে করতে হবে। সেটা করবার মতো আমাদের সক্ষমতা আছে কিনা। এগুলো যাছাই-বাছাই করার একান্ত দরকার। পাশাপাশি যে প্রজেক্টা নিবো তা ওই এলাকায় কতটুকু কার্যকর এবং মানুষ কতটুকু লাভবান হবে। সেই সঙ্গে অর্থনীতিতে কতটুকু যোগ হবে- সেটা দেখতে হবে।’
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশের সুবিধা বন্ধের পর চ্যালেঞ্জ হিসেবে উন্নয়নশীল দেশের সুবিধাসমূহ সুনির্দিষ্ট করার আহবান জানান বঙ্গবন্ধু কন্যা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমাদের যে যাত্রা শুরু করবো, সেখানে আমরা কি কি সুবিধা পাব সেটা সুনির্দিষ্ট করতে হবে। কোথা থেকে কি পেরে পারি আর কোনটা আমাদের জন্য সবথেকে বেশি কার্যকর সেটা বাছাই করতে হবে। সেইভাবে আমরা কাজ শুরু করবো।”
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণেই আগামী ৫ বছর কাজ করার আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এই ৫ বছর দেশের জন্য কাজ করে যাব। সেটাই আমার লক্ষ্য।
সূত্র : একুশে টেলিভিশন
এফআর/অননিউজ